
ভারতের আহমেদাবাদে আবাসিক এলাকায় এয়ার ইনডিয়ার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলের একটি ভবন থেকে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আরও অনেকে ওই ভবনে আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেওয়ার পরই দুর্ঘটনায় পড়ে। উড়োজাহাজটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।
বিবিসি লিখেছে, লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরগামী ওই উড়োজাহাজে যে ২৪২ জন আরোহী ছিল, তার মধ্যে দুইজন পাইলট ও ১০ জন ক্রুও ছিলেন।
যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডার ও ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ার ইনডিয়া। বাকিরা সবাই ভারতীয় নাগরিক।
আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, রানওয়ে ২৩ থেকে বেলা দেড়টার কিছু সময় পর উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর ছাড়ে। এরপরই সেটি ‘মে ডে’ সঙ্কেত দেয়, এরপর আর উড়োজাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
সোশাল মিডিয়ায় আসা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এয়ার ইনডিয়ার উড়োজাহাজটি উচ্চতা বাড়াতে না পেরে খুব নিচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে এবং কিছুক্ষণ পর সেটি ভূমিতে আছড়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর পরিণত হয় আগুনের গোলায়।
দুর্ঘটনার আগে বিমানটি প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে উড়েছিল এবং বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে সেটি বিধ্বস্ত হয়।
উড়োজাহাজটি চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলে আছড়ে পড়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। লোকালয়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বেশি হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
দুর্ঘটনার পর আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কার্যক্রম ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ বন্ধ রাখা হয়েছে।
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ‘স্তব্ধ ও শোকাহত’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হতাহতদের সহায়তায় কাজ করা কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছেন।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]