
যুক্তরাজ্যে ২৮ বছর বয়সি এক যুবক তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দেহ ২০০টিরও বেশি টুকরো করেছেন। হত্যার পর তিনি গুগলে সার্চ করে দেখেছিলেন, স্ত্রীকে হত্যা করে কী সুবিধা পাওয়া যাবে। তার পর মোবাইলে সার্চ করেন, 'কেউ মরে যাওয়ার পর ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসে কি?'
সম্প্রতি নিজেই খুনের কথা স্বীকার করে এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দেন নিকোলাস মেটসন নামে যুক্তরাজ্যের এক অধিবাসী। গতবছর (২০২৩) মার্চে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ ছিল নিকোলাস মেটসনের বিরুদ্ধে।
পুলিশ বলছে, গত মার্চে স্ত্রীকে হত্যা করেন অভিযুক্ত ২৮ বছরের নিকোলাস মেটসন। দেহ কাটেন ২০০-র বেশি টুকরো করে। সেগুলো ফ্রিজে রেখে দেন। এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে দেহের টুকরোগুলো তিনি ফেলে দেন ভিতাম নদীতে।
একদিন সকালে ভিতাম নদীর পাশ দিয়ে একজন হাঁটার সময় মরদেহ রাখা প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো দেখতে পান। একটি ব্যাগে হাত বেরিয়ে ছিল। পরে ডুবুরিরা শরীরের ২২৪টি টুকরো খুঁজে পেয়েছেন। এখনো কিছু অংশ নিখোঁজ। মরদেহটি এমনভাবে কাটা হয়েছিল যে মৃত্যুর কারণ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ছিল বলে আদালতে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ব্রামলির মা আদালতকে জানান, তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছে মাত্র ১৬ মাস হলো। তিনি তাঁর মেয়ের জামাইকে ‘দানব’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েকে আমার কাছে অনেক দিন আসতে দিত না। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার অবস্থায় ছিল, এমন সময় হত্যা করা হয়েছে।
নিকোলাস মেটসন স্ত্রী হলি ব্রামলিকে (২৬) হত্যার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও এক সপ্তাহ পর তা স্বীকার করেন। তার বাসায় পুলিশ তদন্তে এলে তিনি তাদের সঙ্গেও মজা করেন। তিনি বলেন, তার স্ত্রী খাটের নিচে লুকিয়ে থাকতে পারে।
ঘটনার পর দম্পতির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই প্রথম সন্দেহ হয় বাড়ির অবস্থা দেখে। পুলিশ সদস্যরা ফ্ল্যাটটিতে অ্যামোনিয়া এবং ব্লিচের তীব্র গন্ধ পেয়েছিলেন। তারা বাথটাবে রক্তে ভেজা চাদর এবং মেঝেতে কালো দাগও খুঁজে পান। পরে মৃতের সঙ্গে মিলে যায় সেই রক্তের নমুনা।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]