অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অংশ হিসেবে ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৪
অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অংশ হিসেবে ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ অরুণাচল সব সময়ই ‘ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অখণ্ড অংশই’ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।


বুধবার (২০ মার্চ) এক বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, অরুণাচল ভারতের অংশ এবং এই অঞ্চলের অখন্ডতা নষ্ট করার যেকোনো ধরণের একপাক্ষিক প্রচেষ্টার প্রতি আমরা নিন্দা জানাই।


হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের পশ্চিমাংশের এক পাশে চীনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল তিব্বত, অন্যপাশে অরুণাচল রাজ্য। তিব্বত-অরুণাচল সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার কিলোমিটার, যার বেশিরভাগই অরক্ষিত।


চীন অরণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে, যার বিরোধীতা করে আসছে ভারত। মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীন অরণাচল প্রদেশ নিয়ে উদ্ভট দাবি করে আসছে এবং অঞ্চলটি সবসময়ই ভারতের ছিল এবং থাকবে।


এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল পেরিয়ে এই অঞ্চলে যেকোনো ধরণের অনধিকার প্রবেশের বিরোধীতা করছে।


চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এবং দেশটির সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শ্যাং জিয়াওগ্যাং এক সাক্ষাৎকারে অরুণাচলকে তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে বলেছিলেন, ‘এই অঞ্চলটি তিব্বতের। ভারত অবৈধভাবে সেটি দখল করে নাম দিয়েছে অরুণাচল প্রদেশ। বেইজিং ভারতের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধী এবং ওই অঞ্চলকে কখনও ভারতীয় ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’


শ্যাং জিয়াওগ্যাংয়ের এই মন্তব্যের কয়েক দিনের মধ্যেই এ ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন করে বক্তব্য দিলো মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের উত্থান ঠেকাতে নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়েছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।


২০২০ সালে হিমালয়ের পশ্চিমাঞ্চলে এক সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় ও চারজন চীনা সৈন্য নিহত হয়েছিলেন। এ ঘটনার পর উভয় পক্ষই সীমান্তে তাদের অবস্থান জোরদার করেছে এবং অধিক সংখ্যক সৈন্য এবং অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করেছে।


১৯৬২ সালে দুই দেশ সীমান্তে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।


রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের উত্থান ঠেকাতে নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়েছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।


হংকংয়ে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইন, তাইওয়ান প্রসঙ্গ, মানবাধিকার, কোভিড-১৯ এর উৎপত্তি এবং বাণিজ্য শুল্কের মতো বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব চলছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com