
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ ওপরে পড়ে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন।
৮ জানুয়ারি, শুক্রবার আল শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে এসব ত্রাণ ফেলা হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে আরো ১০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক খাদের আল জানুনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
তিনি জানিয়েছেন, বিমান থেকে এসব ত্রাণ ফেলা হয়েছে। তবে কোন দেশের বিমান ছিল এটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল-শেখ পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় আল-শিফা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। দখলদার ইসরায়েলের বর্বরতার কারণে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে আছে গাজাবাসী। অনাহারে থাকা এসব মানুষকে সহযোগিতায় গত কয়েকদিন ধরে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনার পর গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্র বিমান থেকে প্রথমবারের মতো খাবারের ৩৮ হাজার প্যাকেট ত্রাণ গাজায় ফেলে। ওই সময় তাদের সহযোগিতা করেছিল জর্ডানও।
তবে গাজার দাতব্য সংস্থাগুলো জানিয়েছিল, যে পরিমাণ মানুষ অনাহারে রয়েছে সেটির তুলনায় এই ত্রাণ কিছুই না।
গাজার গণমাধ্যম দফতর জানিয়েছে, এভাবে ত্রাণসহায়তা দেয়া মানবিক সেবার বদলে আসলে চটকদার প্রপাগান্ডা। আমরা আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে, এই প্রচেষ্টা গাজা উপত্যকার মানুষের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিমান থেকে ফেলা পার্সেল মানুষের মাথায় পড়ে আজ এই ঘটনা ঘটল।
হামাসচালিত এই দফতর আরো জানিয়েছে, আমরা আগে সতর্ক করেছিলাম এই ধরনের অপারেশন অকেজো। ত্রাণসহায়তা দেয়ার সর্বোত্তম উপায় নয়। অনেক বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগে স্থল সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে ত্রাণসহায়তা আনার ব্যবস্থা করুন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গাজায় না খেয়ে অন্তত ২০ জন মানুষ মারা গেছেন। ৭ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি চরম ক্ষুধায় ভুগছে বলে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
গাজার এমন ভয়াবহ মানবিক সংকটের সময় ত্রাণ সহায়তার পরিমাণ বাড়াতে সেখানে একটি অস্থায়ী বন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া গাজায় ত্রাণ সহায়তা দিতে সামুদ্রিক করিডোর খোলার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]