গাজায় ৬০ হাজার গর্ভবতী নারী পুষ্টিহীনতায় ভুগছে
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৯
গাজায় ৬০ হাজার গর্ভবতী নারী পুষ্টিহীনতায় ভুগছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গাজায় এখন প্রায় ৬০ হাজার গর্ভবতী নারী রয়েছেন। সেখানার গর্ভবতী নারাীরা ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার সম্মুখীন হয়েছেন।


৮ মার্চ, শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।


সারা বিশ্বে নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অর্জনকে সম্মান জানাতে যখন এই দিনটি ব্যাপকভাবে পালিত হচ্ছে তখন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের নারীরা আছেন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে।


সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ৮ মার্চ বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হচ্ছে এবং গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এই সময়ে গাজা উপত্যকার নারী জনগোষ্ঠীর দুর্দশার বর্ণনা দিয়ে তাদের যেসব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে তার একটি হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন।


বর্ণনায় আশরাফ আল-কুদরা জানান, এই ভূখণ্ডে প্রতি মাসে ৫ হাজার নারী সন্তান জন্ম দিচ্ছেন এমন একটি পরিবেশে যাকে কেবলমাত্র ‘অনিরাপদ, অস্বাস্থ্যকর ও বিরূপ’ ছাড়া আর কোনোভাবে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। প্রায় ৬০ হাজার নারী এখন সেখানে গর্ভবতী অবস্থায় রয়েছেন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিচর্যার সুবিধা ছাড়াই। এসব গর্ভবতী নারী এখন প্রচণ্ড অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার শিকার।


এ প্রসঙ্গে আশরাফ আল-কুদরা বলেন, আমরা নারীদের নিয়ে কাজ করা সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতি ফিলিস্তিনি নারীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ও ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।


এদিকে মিশরে থাকা হামাস প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কোনো রকম চুক্তি ছাড়াই দেশটির থেকে ফিরে এসেছে। তবে আগামী সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।


অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফাহ শহরে সামরিক বাহিনীর অভিযানের বিষয়ে তার অবস্থানে অটল রয়েছেন। তিনি জানান গোটা গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর অভিযান চলবে।


উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।


এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ।


প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রতি বছর ৮ মার্চ পালন করা হয়। সারা বিশ্বে নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অর্জনকে সম্মান জানাতে এই দিনটি ব্যাপকভাবে পালিত হয়। অনেক স্থানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি ছুটির দিন হিসাবেও পালন করা হয়।


মূলত লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা বা লিঙ্গবৈষম্য কমানো, প্রজননের অধিকার, নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও নির্যাতন, নারী-পুরুষের সমানাধিকারের জন্য সারা বিশ্ব জুড়েই পালন করা হয় এই দিনটি। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।


আন্তর্জাতিক নারী দিবস সারা বিশ্বে নারীত্বের একটি মহান উদযাপন। এই দিনটি বিশেষ করে নারীদের কৃতিত্বকে সম্মান এবং লিঙ্গ বৈষম্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার প্রসার ঘটানো এবং সমাজের সকল অংশ থেকে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করাও গুরুত্বপূর্ণ।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com