
গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩১ হাজার ছুঁয়েছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৮০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছে ৭২ হাজার ২৯৮ জন।
৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত ও ১৪২ জন আহত হয়েছে। অনেক বাসিন্দা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা রয়েছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।
জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়াও গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস হামলা চালিয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ওইদিনই পাল্টা হামলা শুরু করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, হামাসের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। এসময় প্রায় ২৪০ জনকে আটক করে নিয়ে যায় প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
তবে একটি যুদ্ধবিরতির আওতায় বেশ কয়েকজন জিম্মিকে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হলেও এখনও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি রয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে কয়েকজন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছিল হামাস।
এদিকে, বাকি জিম্মিদের মুক্তির জন্য পবিত্র রমজান মাসের আগে গাজায় একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মধ্যস্থতাকারীরা। তবে এই আলোচনা আদৌও সফলতার মুখ দেখবে কিনা এ নিয়ে সন্দিহান বিশ্লেষকরা।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]