
দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বন্ধ্যাত্ব সমস্যার চিকিৎসা নেয়ার পর মা হয়েছিলেন গাজার রানিয়া আবু আনজা। তিন দফা ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সন্তান ধারণের চেষ্টার পর জমজ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। নিজের সবটা দিয়ে ভালোবেসে বড় করে তুলছিলেন যমজ ছেলে ও মেয়েকে। কিন্তু ইসরায়েলি বিমান হামলায় মুহূর্তের মধ্যেই তার জীবনে নিয়ে এসেছে ঘোর আঁধার।
শনিবার (২ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ওই পরিবারের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ইসরায়েলের এক বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছে তার কলিজার টুকরা দুই ছেলে-মেয়ে, স্বামীসহ পরিবারের ১৪ সদস্যের। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে পরিবারের আরও ৯ জন।
শনিবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠেন রানিয়া আবু আনজা। তখন তার পাঁচ মাস বয়সী ছেলে নাঈমকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছিলেন আর তার মেয়ে উইসামকে আরেক বাহুতে জড়িয়ে ধরে ছিলেন। পাশেই ঘুমাচ্ছিলেন তার স্বামী। পরে দুই বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে নিজেও ঘুমাতে যান। এর ঠিক আধা ঘণ্টা পরেই হঠাৎ ইসরায়েলের এক গোলায় তার পুরো বাড়ি ধসে পড়ে। চোখের পলকে প্রাণ প্রিয় দুই ছেলে-মেয়ে আর স্বামীকে মারা যেতে দেখেন।
সন্তানের ব্যবহৃত একটি কম্বল বুকে জড়িয়ে রানিয়া জানান, তিনি তার বাচ্চা এবং স্বামীর জন্য চিৎকার করে ওঠেন। তারা সবাই মৃত। সন্তানদের নিয়ে তাদের বাবা চলে গেছে। মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য বন্ধ্যাত্ব সমস্যা ঘুচানোর জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিয়েছিলাম।
রবিবার গাজা-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর জন্ম নেয়া উইসাম ও নাঈমকে দাফন করা হয়।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল গাজার আবাসিক ভবনগুলোতেও নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়েছে, এমনকি রাফাতেও। যদিও গত অক্টোবর মাসে ইসরায়েল রাফাকে নিরাপদ জোন ঘোষণা করেছিল। এখন রাফাই হচ্ছে ইসরাইলের পরবর্তী স্থল অভিযানের টার্গেট।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]