
আন্দোলন থামানোর আলোচনা থেকে সমাধান বের না হওয়ায় কর্মবিরতিতে থাকা প্রায় ৭ হাজার প্রশিক্ষণার্থী ডাক্তারের মেডিকেল লাইসেন্স বাতিল করার জন্য তালিকা শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার।
৪ মার্চ, সোমবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
দাবি আদায়ের জন্য কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের তালিকা ধরে শনাক্তের পর তাদের লাইসেন্স বাতিল করার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। মূলত আন্দোলনে থাকা সাত হাজার শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্মস্থলে ফেরাতে এই কৌশল বাস্তবায়নে নেমেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সরকারের মেডিকেল স্কুলে ভর্তি বাড়ানোর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ‘ওয়াকআউট’ করেছিলেন ওই ডাক্তাররা। সরকার ‘ওয়াকআউট’ শেষ করার আল্টিমেটাম দিয়েছিল তাদের। কিন্তু তা উপেক্ষা করায় এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেয় সরকার।
২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদী কর্মসূচির সাথে একাত্মতা জানিয়ে, কর্মবিরতি শুরু করেছেন ৯ হাজারের বেশি স্থায়ী ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। এতে প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্যসেবা খাত। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, মূলত কর্মক্ষেত্রের অবনতিশীল পরিবেশ, কাজের প্রচণ্ড চাপ আর বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষের জেরে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা। দীর্ঘদিনের দাবি দাওয়া আমলে না নিয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্যখাতে আরও চিকিৎসক বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। এতে বঞ্চিত চিকিৎসকদের চাপা ক্ষোভ বিক্ষোভে রূপ নেয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী চো কিও-হং এক টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণার্থী ডাক্তাররা কাজে ফিরেছেন কিনা- তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা মাঠে নামব। যারা ফিরে আসেননি, তাদের ব্যক্তিগত কর্মজীবনে ভবিষ্যতে গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
তারই প্রেক্ষিতে আজ এই ঘোষণা এলো।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]