
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যেই ৩০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া গাজায় মানবিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। অপুষ্টি ও অনাহারে শিশু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে গাজায় শিশু মৃত্যু দ্রুত বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে আরও বেশি সংখ্যক শিশু অযত্নের সম্মুখীন হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
৩ মার্চ, রবিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আক্রমণ ও অবরোধ অব্যাহত থাকায় রবিবার ভূখণ্ডটিতে শিশু মৃত্যুর বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
ইসরায়েল গাজার উত্তরাঞ্চলে কঠোর অবরোধ জারি রেখেছে এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে পানিশূন্যতা এবং অপুষ্টির কারণে অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক অ্যাডেল খোদর এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজার অবশিষ্ট যে কয়েকটি হাসপাতাল চালু আছে তার মধ্যে কোথাও কোথাও সম্ভবত আরও বেশি শিশু তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে এবং ভূখণ্ডটির উত্তরাঞ্চলে সম্ভবত আরও বেশি শিশু সঠিক যত্ন ও পরিষেবা পাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেছেন, এই মর্মান্তিক এবং ভয়াবহ মৃত্যু মানবসৃষ্ট এবং সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য।
ইউনিসেফ বলেছে, গাজায় পুষ্টিকর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং চিকিৎসা সেবার যে ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে তা আসলে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতাসহ একাধিক বিপদের সরাসরি পরিণতি।’
জাতিসংঘের এই সংস্থার তথ্য অনুসারে, প্রায় ১৬ শতাংশ বা দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন উত্তর গাজায় তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। অ্যাডেল খোদর সতর্ক করে বলেন, ‘এখন, আমরা যে শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করছিলাম তা এখানে বিদ্যমান রয়েছে এবং যুদ্ধ শেষ না হলে ও মানবিক ত্রাণ বিতরণে প্রতিবন্ধকতাগুলো অবিলম্বে সমাধান করা না হলে তা (শিশু মৃত্যু) দ্রুত বাড়তে পারে।’
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]