
মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির স্মৃতিসৌধে দুটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রায় ১০০ জন মানুষকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বৃহস্পতিবার ( ৪ জানুয়ারি ) এ হত্যার দায় স্বীকার করে সংগনটি।
নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে আইএস দাবি করেছে—তাদের দুই সদস্য সোলেইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানের ভিড়ের মধ্যে শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এর আগে বিস্ফোরণের জন্য ‘সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করে রক্তক্ষয়ী এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল তেহরান। পাশাপাশি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থাকে বলেছিল—সোলেইমানির নিজ শহর কেরমানে অবস্থিত তার কবরস্থানে প্রথম বিস্ফোরণটি একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ঘটিয়েছে। দ্বিতীয় বিস্ফোরণের কারণও সম্ভবত একই।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একটি বিবৃতিতে কেরমানে সংঘটিত বুধবারের ‘কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলার’ নিন্দা এবং নিহতদের পরিবার ও ইরান সরকারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা গেছে, হামলার জের ধরে কেরমান সহ ইরানের এক ডজন শহরে ইসরাইল ও আমেরিকার ধ্বংস কামনা করে স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধরা।
ইরানি কর্তৃপক্ষও শুক্রবার ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। বিস্ফোরণে নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় একাধিক গণমাধ্যম।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বুধবারের হামলাকে ‘জঘন্য ও অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছেন। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিও বোমা হামলার প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালে ইরানের একটি শিয়া মাজারে মারাত্মক হামলার দায় স্বীকার করেছিল ইসলামিক স্টেট। ওই হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালেও আইএস জঙ্গিরা ইরানের সংসদ এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির সমাধিকে লক্ষ্য করে দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]