ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত হামলায় অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধের অভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। শয্যা খালি না থাকায় নতুন রোগী নিতে পারছে না হাসপাতালগুলো। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে গিয়েও ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন বাস্তুচ্যুত লোকজন।
গাজার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে শিশু ইলিয়াস আবু শামালেহ। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়নি। দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয় ইলিয়াস।
ইলিয়াস আবু শামালেহের চাচা আওয়াদ আবু শামালেহ জানান, চিকিৎসকেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এখানে কোনো ওষুধ নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে বাইরের দেশে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সব সীমান্ত বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। আমার ভাতিজা মারা গেছে।
ইসরায়েলি হামলায় এর আগে মারা যান ইলিয়াসের মা-ভাইবোনও। গাজার হাসপাতালগুলোতে কোনো বেড খালি নেই। আইসিইউ পূর্ণ হয়েছে আগেই। এ অবস্থায় জরুরি অস্ত্রোপচারের রোগীদেরই ভর্তি করাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
ইসরায়েলি বাহিনীর হুমকিতে গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, অধিক লোকের চাপ ও দুর্বল স্যানিটেশন ব্যবস্থার কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। এদিকে, নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সেখানে গেলেও, শিকার হচ্ছেন ইসরায়েলি হামলার।
আশ্রয়প্রার্থীরা জানান, জীবনরক্ষার জন্য তারা আমাদের উত্তরাঞ্চল ছাড়তে বলেছে। আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু এখানেও হামলা হচ্ছে। তাহলে আমরা কোথায় যাব?
গাজার বাসিন্দারা বলছে, তারা এমন একটি সুন্দর জীবন চায়, যেখানে কোনো হামলার শঙ্কা নেই।
তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি ৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]