ইউনেস্কো হেরিটেজের তালিকায় ভারতের হোয়সালার মন্দির
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:০২
ইউনেস্কো হেরিটেজের তালিকায় ভারতের হোয়সালার মন্দির
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় জায়গা হিসেবে একদিন আগেই বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা পায় শান্তিনিকেতন। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক শতাব্দী আগে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এবার কর্ণাটকের বেলুর, হালেবিদ এবং সোমনাথপুরার মন্দিরগুলির ‘হোয়সালা গ্রুপ’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল।


১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার ইউনাইটেড নেশনসের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) এ কথা জানিয়েছে।


সৌদি আরবের রিয়াদে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৫তম অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউনেস্কোর এক্স (আগের টুইটার) অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।


এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একটি টুইট করে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে লেখেন, এটা ভারতের জন্য আরও গর্বের বিষয়। হোয়সালার মন্দিরগুলোকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হোয়সালা মন্দিরগুলোর সৌন্দর্য ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের অসাধারণ কারুকার্যের প্রমাণ।


হোয়সালা মন্দিরগুলো দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। শিল্প এবং সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিবেচিত হোয়সালা রাজবংশের রাজধানী ছিল এটি। তিনটি হোয়সালা মন্দির ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের (এএসআই) অধীনে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে রয়েছে। এএসআই এটি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।


শান্তিনিকেতন ও হোয়সালা মন্দির বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন অমিত শাহও। কর্ণাটকের হোয়সালা মন্দিরকে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান তিনি।


অমিত শাহ এক টুইটে বলেছেন, শান্তিনিকেতন গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসভবন, এটা মানুষের সম্ভাবনার অসীম বিকাশের প্রচার করে। একই সঙ্গে, হোয়সালা মন্দির আমাদের কারুশিল্পের শীর্ষস্থানের বহিঃপ্রকাশ। এটা দেশের জন্য আনন্দের উপলক্ষ যে আমাদের দু’টি সাংস্কৃতিক স্থান ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পেয়েছে। এগুলো ভারতীয় সংস্কৃতির চিরন্তন জীবন্ত প্রমাণ।


কর্ণাটকের সোমনাথপুরার চেন্নাকেসাভ ১২৬৮ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় নরসিংহের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছিল এই হোয়সালা মন্দির। কর্ণাটকের হাসান জেলার বেলুড়ে কেশব মন্দিরটি নির্মাণ করেছেন বিষ্ণুবর্ধন। এই মন্দিরগুলোর শৈলী সম্পূর্ণরূপে দ্রাবিড় বা সম্পূর্ণ নাগারা নয়। এটি নির্মাণ করা হয়েছে অনন্য শৈলীতে। কেশব মন্দিরের দেয়ালে খোদাই করা আছে দেবতা, দেবী ও সঙ্গীতশিল্পীদের অবয়ব। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে


বিবার্তা/পুলক/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com