ভারতের উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লিতে দুই নারী শিক্ষিকার মুসলিম ছাত্রদের অপমানকর মন্তব্যের দুইটি ঘটনা ঘটেছে।
রাজধানী দিল্লির গান্ধী নগরে সরকারি সর্বোদয় বাল বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হেমা গুলাটি নবম শ্রেণির কিছু মুসলিম ছাত্রকে বলেছেন, তাদের পরিবার কেন দেশভাগের সময় পাকিস্তানে চলে যায়নি?
তিনি বলেছেন, কেন তোমরা ভারতে থেকে গেলে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তো তোমাদের কোনো অংশগ্রহণই ছিল না। এছাড়াও তিনি কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরপরই ওই ছাত্রদের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। পড়ুয়াদের পরিবারের অভিযোগ, এই ধরণের ঘটনা বিদ্বেষ তৈরি করতে পারে। তাই ওই শিক্ষিকাকে ইস্তফা দিতে হবে।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে ওই স্কুলের দুই পড়ুয়ার মা অভিযোগ করেছেন, যদি এই শিক্ষিকাকে শাস্তি না দেওয়া হয়, তাহলে অন্যরা সাহস পাবে এবং এই রকম মন্তব্য করবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বলে দেয়া উচিত, তারা যেন শুধু নিজেদের পড়ানোর কাজটা করেন। যে সব বিষয়ে তাদের কোনো জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে মন্তব্য না করেন। আর পড়ুয়াদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করেন। তারা চান, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
স্থানীয় আপ বিধায়ক অনিল কুমার বজপেয়ী সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, শিক্ষকরা যেন বাচ্চাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেন। তারা যেন বিভেদ সৃষ্টি না করেন। তার দাবি, ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করতে হবে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশে মুজফফরনগরের স্কুলে একটি ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষিকার নির্দেশে একটি মুসলিম ছাত্রকে চড় মারা হচ্ছে। ওই শিক্ষকের নাম তৃপ্তা ত্যাগী। তিনি পাশ থেকে কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করছেন সেটাও শোনা গেছে। তার বিরুদ্ধেও পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
এরপর ৬০ বছর বয়সী শিক্ষিকা স্বীকার করেছেন, তিনি ভুল করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, কোনোরকম সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এই কাজ করেননি। ওই ছেলেটি স্কুল পাল্টে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে।
বর্তমানে এ দুই ঘটনা ইসলামোফোবিয়ার (ইসলাম ভীতি বা ইসলাম বিদ্বেষ বা মুসলিম-বিরোধী মনোভাব) চরম বহিরপ্রকাশ বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]