ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন কারখানায় গত বৃহস্পতিবারের অগ্নিকাণ্ডে অন্তত এক হাজার কোটি রুপির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়েছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। একারণে সেটি সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান।
গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে পুনেতে সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন কারখানার একটি নির্মাণাধীন ভবনে আগুন লাগে। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয় সেই আগুন। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত পাঁচ শ্রমিক। এর কয়েক ঘণ্টা পরে সেই একই জায়গায়ও আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে সেবার দ্রুততার সঙ্গেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সিরামের ওই কারখানাতেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের উৎপাদন চলছে। শিগগিরই সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নোভাভ্যাক্সের ভ্যাকসিনও উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার সিরামের প্রধান নির্বাহী আদর পুনেওয়ালা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আগুনের ঘটনায় কোভিশিল্ড সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না। তবে এতে রোটাভাইরাস এবং বিসিজি ভ্যাকসিনের উৎপাদন ও মজুতের ক্ষতি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় আর্থিক ক্ষতি। এক হাজার কোটি রুপিরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই আগুনে।
তিনি বলেন, ঈশ্বরের কৃপায় এবং সবার দোয়ায় যেখানে কোভিশিল্ডের উৎপাদন ও মজুত ছিল, অগ্নিকাণ্ড হয়েছে সম্পূর্ণ আরেকটি ভবনে।
সিরামের সিইও বলেন, এটা সম্পূর্ণ নতুন স্থাপনা এবং যন্ত্রপাতি বসানো মাত্র চলছে। সম্ভবত সেটার কারণেই ঘটনাটি (অগ্নিকাণ্ড) ঘটেছে। আমরা যা হারিয়েছি তা হচ্ছে ভবিষ্যতের উৎপাদন।
শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে বলেছেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, সুতরাং এখনই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক হবে না। তদন্ত শেষ হলেই আমরা জানতে পারব এটি নিছক দুর্ঘটনা ছিল নাকি সহিংসতা। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]