ইরানের নৌবহরে যুক্ত হয়েছে অন্তত পাঁচটি হেলিকপ্টার বহনে সক্ষম বিশাল এক যুদ্ধজাহাজ। ‘আইআরআইএনএস মাকরান’ নামের জাহাজটি তৈরি হয়েছে ইরানের সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে। বর্তমানে এটাই ইরানি নৌবহরের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ।
২২৮ মিটার (৭৪৮ ফুট) দীর্ঘ জাহাজটি আগে তেলের ট্যাংকার ছিল। পরে সেটিকে যুদ্ধজাহাজে রূপান্তরিত করেছে ইরান।
নৌপথে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা, বিশেষ বাহিনী মোতায়েন, সরবরাহ ও পরিবহন সেবা, মেডিক্যাল সহায়তার পাশাপাশি দ্রুতগামী নৌযানগুলোর জন্য ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হবে আইআরআইএনএস মাকরান।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ওমান সাগরে ইরানের দুই দিনব্যাপী নৌ মহড়ায় প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আনা হয় বিশাল যুদ্ধজাহাজটি।
ইরানের অ্যাডমিরাল হামজেহ আলি কাভিয়ানি বলেন, এই মহড়ার মাধ্যমে সময়মতো শত্রুপক্ষের সম্ভাব্য হুমকির জবাব দিতে আমাদের দক্ষতার মূল্যায়ন করতে পারছি। পাশাপাশি, নিজেদের দুর্বলতা মোকাবিলা এবং শক্তি বাড়িয়ে দক্ষতার উন্নতি হচ্ছে।
এছাড়া, গত সপ্তাহে পরস্য উপসাগর উপকূলে একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির কথা প্রকাশ করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। দেশটিতে এধরনের আরো অনেকগুলো ঘাঁটি রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইরান জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষকদের জানিয়েছে, তারা ২০ শতাংশ শুদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত শুরু করতে চলেছে। অবশ্য দেশটির সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে সই করা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিবার্তা/আবদাল