ভারতের মণিপুর রাজ্যে একদল পুরুষ রাস্তায় দুই নারীকে নগ্ন অবস্থায় হাঁটতে বাধ্য করেছে। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। দেশজুড়ে এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠে। দায়ীদের বিচারের আওতায় আনারও দাবি ওঠে।
বিজেপি শাসিত অঞ্চলটিতে সম্প্রতি দুই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সহিংসতায় ১২০ জনের মৃত্যু হয়। থেমে থেমে এখনও সংঘাতের খবর পাওয়া যায়। এ অবস্থায় নীরবতা ভেঙে মণিপুরে নারী নির্যাতন ইস্যুতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) পার্লামেন্টের বর্ষা অধিবেশন শুরু আগে তিনি এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। খবর ডেক্কান হেরাল্ড।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমি এই ঘটনায় সংক্ষুব্ধ। আমি তীব্র ক্ষোভ জানাচ্ছি। মণিপুরের ঘটনায় সমাজ আজ লজ্জিত। মণিপুরের দুই কন্যার সঙ্গে যা হয়েছে তা কখনই ক্ষমা করা হবে না। দোষীরা কোনভাবেই পার পাবে না। আইন তার সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে এগোবে।
একই সঙ্গে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ভিডিও শেয়ার দেয়া বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। এমনকি এ ইস্যুতে কোনো মামলাও হয়নি। মণিপুরে কুকি আদিবাসী নেতাদের ফোরাম (আইটিএলএফ) নিশ্চিত করেছে সেই দুই নারী কুকি আদিবাসী। আইএলটিএফের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, শুধু নগ্ন করেই ঘোরানো নয়, তাদের কাছের একটি মাঠে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণও করা হয়।
সম্প্রতি ভিডিওটি ভাইরাল হলেও আইটিএলএফের বিবৃতি অনুসারে ঘটনাটি ৪ মে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় ঘটেছিল। সেই সময় মেইতি জনতা তাদের উলঙ্গ অবস্থায় ধর্ষণ করার জন্য ধানক্ষেতের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
ভিডিওটিতে দেখা গেছে, সেখানে উপস্থিত পুরুষেরা ক্রমাগত তাদের হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করছে এবং নারী দুজনকে অনুনয় বিনয় করতে দেখা গেছে।
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]