শতভাগ সেবা চালু করেছে মোংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০
শতভাগ সেবা চালু করেছে মোংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
মোংলা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে একদিনেই ১১টি সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত একটানা চলা এ অপারেশনে ১১ জন প্রসূতির ১১টি নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন জানান, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে সপ্তাহে একদিন শুধুমাত্র সোমবার রুটিন অপারেশন চালু রয়েছে। একদিনে করা অপারেশনের রেকর্ড ভেঙে ১১ জন গর্ভবতী মায়ের সিজারিয়ান সেকশন অপারেশন হয়েছে। যেহেতু সপ্তাহে একদিন মাত্র অপারেশন ব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হয়েছে তাই ওইদিন যত রোগী আসে কিংবা ইমারজেন্সি সিচুয়েশন তৈরি হয়, সেই রোগীদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয় অপারেশন করার। কাউকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।


সোমবার প্রসব নিয়ে রোগী ভর্তি ছিলেন ৫ জন, পূর্বে সিজারিয়ান সেকশনের ইতিহাস নিয়ে রোগী ভর্তি ছিলেন ২ জন। গর্ভবতী মায়ের পানি ভেঙে যাওয়া ও সন্তানের নড়াচড়া কম বুঝতে পাওয়া এবং ডেলিভারি ডেট অতিক্রম হয়ে যাওয়া পোস্ট ডেটেড প্রেগনেন্সি রোগী ছিলেন ৪ জন। মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলেন একজন, যার পূর্বে সিজারের সেকশনের ইতিহাস ছিল।


ডা. মো. শাহীন বলেন, কনকনে শীতে সব রোগীদের ভরসা ও শেষ আশ্রয়স্থল মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তাই এই রকম বৈরী আবহাওয়ার ভেতর সকল মা ও বাচ্চার কথা মাথায় রেখে সীমিত জনবল ও যন্ত্রপাতি নিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ সকল অপারেশন সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। মা ও বাচ্চা সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। এই অপারেশনে নিরলসভাবে সেবা প্রদান করেন অপারেশন টিমের লিডার ডা. সিরাজুম মুনিরা মিতু, ডা. আফসানা নাঈমা হাসান, ডা. নুরজাহান নিশাদ, ডা. আল মামুন, নার্সিং কর্মকর্তা বিউটি সরকার, ওয়ার্ড বয় সুমন হোসাইন ও প্রান্ত মন্ডল প্রীতম।


ড. মো. শাহীন আরও বলেন, হাসপাতালটিতে ২৮ জন চিকিৎসকের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৮ জন। এই স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক প্রতিনিয়ত তাদের নিয়মিত ডিউটির বাহিরে গিয়েও আন্তরিকতার সঙ্গে অতিরিক্ত ডিউটি করে এখানকার জনসাধারণকে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।


তিনি বলেন, আমি খুব ভালো একটা টিম পেয়েছি, ডিউটি থাকুক আর না থাকুক তাদেরকে যখনই কল করা হয়, দিন আর রাত নেই তারা হাজির হয়ে যান। তাদের সকলের আন্তরিকতার কারণেই হাসপাতালে আগত সকল রোগীকেই আমরা শতভাগ সেবা প্রদান করতে পারছি। একজন রোগীরও সেবা না নিয়ে ফিরে যাওয়ার কোনো নজির নেই। নানা সংকটে থেকেও আমরা শতভাগ প্রাণপণ সেবা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১৯৯৭ সালের ২৩ মে ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি চালু হয়। এরপর ২০০৮ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয় সরকারি এ হাসপাতাল। হাসপাতাল চালুর পর ২০২৩ সালের ১ জুন বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীনের তত্ত্বাবধানে এখানে অপারেশন থিয়েটারটি চালু হয়। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহের সোমবার নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের অপারেশন সেবা চালু রয়েছে।


বিবার্তা/জাহিদ/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com