‘শিশুদের মায়ের দুধের পরিবর্তে ফর্মুলা খাওয়ানো উচিত নয়’
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৩২
‘শিশুদের মায়ের দুধের পরিবর্তে ফর্মুলা খাওয়ানো উচিত নয়’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

স্বাস্থ্যসচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেছেন, শিশুদের মায়ের দুধের পরিবর্তে ফর্মুলা খাওয়ানো উচিত নয়। মায়ের দুধের সঙ্গে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। আর এমনভাবে প্রচারণা হচ্ছে যে এটি শিশুর জন্য সব সমস্যার সমাধান। বিষয়টি অমানবিক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।


৬ আগস্ট, রবিবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য ‘মাতৃদুগ্ধ পান নিশ্চিত করি, কর্মজীবী মা বাবার সহায়ক পরিবেশ গড়ি’।


আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবেও বলা হয়ে থাকে শিশুর জন্মের সময়ই মায়েদের দুধের সৃষ্টি হয়। এটা বাচ্চারা পাবে। অনেকে বলে থাকে শিশু দুধ পাচ্ছে না। তবে এমনটা হওয়া মনস্তাত্ত্বিক। শিশুদের মায়ের দুধ না দিয়ে ফর্মুলা খাওয়ানো এবং এর প্রচারণা করা এটি এক প্রকার বঞ্চনা, প্রতারণা করা হচ্ছে মানুষের সাথে।


তিনি বলেন, এ অধিকার পূরণে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেক মাকেও এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। মায়ের পেটে থাকতে একটি শিশু সবচেয়ে নিরাপদ থাকে। তবে সেক্ষেত্রে পেটের শিশুর জন্য ভালো কেয়ার প্রয়োজন হয়। তা নাহলে শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


তিনি আরও বলেন, বাচ্চা দুনিয়াত এলে অসহায় হয়ে পড়ে। তার তখন নতুন করে দুনিয়াতে বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মায়ের দুধ। বাইরের জগতে তার অনেক বেশি জীবাণু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। রোগ-শোক, শারীরিক বৃদ্ধি সবকিছুর জন্য মায়ের দুধ প্রয়োজন। আর ৬ মাস তো বুকের দুধ ছাড়া কিছু খাওয়ানো যাবে না। আর এরপর বাচ্চার বৃদ্ধি বেড়ে যায়।


আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটিও অনেক বেশি প্রয়োজন। শুধু মায়ের সঙ্গে বাচ্চার ইন্টারেকশন না পুরুষেরও ইন্টারেকশন প্রয়োজন হয়। মায়েদের কষ্ট বাবাদেরও দেখা প্রয়োজন।


প্রতিটা অফিসে ডে-কেয়ার সেন্টার থাকার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করতে হবে। হাসপাতাল, অফিস-আদালত সব জায়গায় ডে কেয়ার সেন্টার থাকতেই হবে। আইন হয়েছে। সেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। এখন থেকে ভালোভাবেই তা প্রয়োগ করতে হবে।


দেশের সরকারি-বেসরকারি সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকা জরুরি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।


তিনি বলেন, আমরা বেসরকারি জায়গাগুলোতেও এই ব্রেস্ট ফিডিং ও ডে কেয়ার সেন্টার চালুতে উৎসাহিত করতে চাই। হাসপাতালগুলো অনুমোদনের সময় ও পুনঃ অনুমোদন নেয়ার সময় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও ডে কেয়ার আছে কিনা তা নিশ্চিত করে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাইবো।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, মাতৃদুগ্ধের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে সারাদেশে ২১৮২টি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার করে দেয়া হয়েছে এবং ১৩২৬টি ডে-কেয়ার সেন্টার করে দেয়া হয়েছে।


বিবার্তা/রিয়াদ/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com