করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় শনিবার (১৬ মে) থেকে শুরু হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ভবন-২ এ এই চিকিৎসা শুরু হবে। প্লাজমা থেরাপি ঠিকঠাক কার্যকর হলে উন্নত দেশগুলোর মতো দেশেও করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এটি হবে নতুন দিগন্ত। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, করোনায় চিকিৎসায় ঢামেকে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রথম অবস্থায় করোনা পজিটিভ হয়েছিল এমন সুস্থ দুই থেকে তিনজনের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। এরপর আগামী ছয় মাস প্লাজমা প্রয়োগের সাফল্য বা এর কার্যকারিতা কেমন তা দেখা হবে।
যদি এতে ভালো ফল পাওয়া যায়, তাহলে ঢামেক আরো বেশি সংখ্যক রোগীদের প্লাজমা থেরাপির আওতায় আনবেন। বর্তমানে এর কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণের জন্য সাত-আটজনের একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়েছে।
প্লাজমা থেরাপি হলো, আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া রোগীর শরীরে এই ভাইরাস প্রতিরোধী এক ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সেই অ্যান্টিবডিযুক্ত প্লাজমা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত অন্য রোগীর শরীরে প্রবেশ করিয়ে ভাইরাসটিকে মেরে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজির অধ্যাপক ও প্লাজমা থেরাপি সাব-কমিটির প্রধান ডা. এম এ খান জানিয়েছেন, শনিবার দুই থেকে তিনজনের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। পরে পরীক্ষা করে দেখা হবে কতটুকু অ্যান্টিবডি আছে। এরপর করোনা রোগীদের প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা শুরু করা হবে।
জানা গেছে, ঢামেক হাসপাতালে যেসব কোভিড-১৯ রোগী আছেন, তাদের ওপরই আপাতত এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া ঢাকার আরো দু-একটি হাসপাতালে রোগীদের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা করার সম্ভাব্যতা দেখতে গত মাসের শুরুতে আগ্রহের কথা জানান অধ্যাপক ডা. এম এ খান। এরপর ১৯ এপ্রিল তাকে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]