শিরোনাম
আবদুর রাজ্জাক- ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেএমআই গ্রুপ
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০১৯, ২০:২৪
আবদুর রাজ্জাক- ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেএমআই গ্রুপ
শুভেচ্ছা বার্তা
প্রিন্ট অ-অ+

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি


মোঃ আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল ব্যবসায়ীক ব্যক্তিত্বের মধ্যে একজন। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীক জীবন, সকল ক্ষেত্রেই তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। এজন্য ব্যতিক্রমধর্মী ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা নিয়ে জাপানের বিলাসী জীবন ছেড়ে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।তিনি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পণ্যগুলির মত বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবসায়ে নিজেকে যুক্ত করে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন শুরু থেকেই।


তিনি ১৯৮৯ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএসএস ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প পরিবার, জেএমআই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


অদম্য স্পৃহা, সততা, স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া, দেশের জন্য কিছু করার মানসিকতা, নিজের শিকড়কে ভুলে না যাওয়া এই বিষয়গুলো দারুনভাবে নিজের মধ্যে রপ্ত করেই এগিয়ে চলা বাংলাদেশের অন্যতম সফল এই শিল্প উদ্যোক্তার।


জাপানে মেডিকেল পণ্য উৎপাদন সেক্টরে দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তিনি উদ্যোক্তা হিসাবে যাত্রা শুরু করেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশে নিজের উৎপাদিত পণ্য সম্পর্কে অবহিত করেন এবং দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে আকৃষ্ট করেন। বর্তমানে আব্দুর রাজ্জাকের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার কারণে জাপান, দক্ষিন কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন, থাইল্যান্ড ও তুর্কির সাথে জেএমআই গ্রুপ অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছে।


ব্যবসা কার্যক্রম ছাড়াও আব্দুর রাজ্জাক সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত। তার কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতাগুলির অংশ হিসেবে পথশিশুদের উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন বিগত কয়েক বছর ধরেই। নিজ এলাকার গরীব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো তার কাছে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে দু:স্থ্য ও অসহায় মা এবং অনাগত শিশুর পুষ্টি যাতে সুষমভাবে পায় সে লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে কাজ করেন তিনি যা সর্বস্তরেই প্রশংসিত। জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শান্তির স্লোগানকে সামনে ধরে প্রতিবছরই তার নেতৃত্বে ‘বিশ্ব শান্তি দিবস’ উদযাপন করা হয় যা কর্পোরেট ইতিহাসে বিরল। মানব সেবায় নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখতে পছন্দ করা এই গুণী মানুষটির মেধা ও নিরলস প্রচেষ্টায় তৈরি ‘জেএমআই অটো ডিজেবল সিরিঞ্জ’ এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ০-১২ বছরের সকল শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হয় যা ২০০৭ সাল থেকে অদ্যবধি চলমান।


মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ১৯৯৯ সালে দক্ষিন কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সহযোগিতায় জেএমআই সিরিঞ্জ এবং মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। কোম্পানির পূর্বের নাম ছিল জেএমআই বাংলা কোম্পানি লিমিটেড। বর্তমানে জাপানের নিপ্রো কর্পোরেশন, একটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত চিকিৎসাযন্ত্র ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য প্রস্তুতকারকের সাথে একটি যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন যার মধ্যে নিপ্রো জেএমআই ফার্মা লিমিটেড অন্যতম। তিনি দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইউরোপিয়ান প্রযুক্তির সমন্বয়ে ‘জেএমআই এলপিজি’ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন যা এই বছরের আগস্টের মধ্যে বাজারে আসবে।


মোঃ আবদুর রাজ্জাক ১৯৬৪ সালে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার আজিজপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৃত শফিউল্লাহ মাস্টার এবং মাতা মৃত মিসেস আনোয়ারা বেগম। শিক্ষক পিতার সন্তান এই সফল শিল্প উদ্যোক্তার মানবিক গুণাবলী সবার হৃদয়ে তার জায়গা করে দেয়।


রাজ্জাক তরুণ ও উদ্যমী ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেন এবংদেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২০১৫ সালে ‘সিআইপি’ মর্যাদা লাভ করেন।


মোঃ আবদুর রাজ্জাক স্বপ্ন দেখেন তিনি দেশের জন্য কাজ করে যাবেন আমৃত্যু। পরবর্তি প্রজন্ম যাতে সমৃদ্ধশালী এবং একটি স্থিতিশীল অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশ পায় সেজন্য বর্তমান সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। রাজ্জাক নিজেকে সেদিনই সফল ভাবতে রাজি যেদিন বিশ্বের প্রতিটি দেশেই বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্য পাওয়া যাবে এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি ইউরোপসহ বিশ্বের ৩৫টি দেশে ইতোমধ্যেই তার উৎপাদিত পণ্য পৌঁছে দিতে পেরেছেন। স্বপ্নবাজ এই গুণী মানুষটির বিশ্বের ৮২টি দেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার এই স্বল্প সময়ের ব্যবসায়ীক ক্যারিয়ারে। এর মধ্যে দক্ষিন কোরিয়াতেই তিনি ৭০ এর বেশিবার ভ্রমণ করেছেনে। বিশ্বের এতগুলো দেশে ভ্রমণ করে তার উপবলব্ধ জ্ঞাণকেও তিনি স্বপ্নে রূপ দিয়েছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন বিশ্বের প্রতিটি দেশেই একটি মিনি বাংলাদেশ থাকবে যেখানে অবস্থারত প্রবাসী বাঙালিরা বিভিন্ন তথ্য পাবেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশের নাগরিকরা প্রিয় মাতৃভূমি সম্পর্কে জানবে যা আমাদের অর্থনৈতিক ভিতকে শক্তিশালী করতে সহযোগিতা করবে।


রাজ্জাক তার কর্মদক্ষতা দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বর্তমানে তিনি সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন ফর মেডিকেল ডিভাইসেস এন্ড সার্জিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টস মেনুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার; সদস্য, কার্যকরী কমিটি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ফার্মাসিটিকাল ইন্ডাস্ট্রিজ ; সদস্য, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ; সদস্য, কোরিয়া- বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ; সদস্য, ভারত- বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ; সদস্য, রিহ্যাব এবং পরিচালক, কার্ডিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা হিসাবে সক্রিয় আছেন।


প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা বাণী


সময়ের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিবার্তা২৪.নেট এর পাঠক নন্দিত হয়েছে। এমন এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকুক। দেশের মতো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিদের গর্বের প্রতিষ্ঠান বিবার্তা২৪.নেট।


আরো পড়ুন:


বিবার্তার জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com