শিরোনাম
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০১৮, ১৪:৫৮
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য (জুলাই-ডি‌সেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি খাতে ১৬.৮ শতাংশ ঋণের প্রবৃদ্ধি রেখে এই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।


বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর মঙ্গলবার এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে ডি‌সেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়ে‌ছে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সরকা‌রি ঋ‌ণের প্রাক্কলন করা হ‌য়ে‌ছে ৮দশমিক ৬শতাংশ। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ ঋ‌ণের প্রবৃ‌দ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে‌ছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।


মুদ্রানী‌তি ঘোষণার সময় গভর্নর ব‌লেন, নির্বাচনী বছ‌রে টাকার সরবরাহ বে‌ড়ে যা‌বে। এজন্য আগের ধারাবা‌হিকতায় মূল্যস্ফী‌তি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানী‌তি সংযত ধর‌নের হ‌বে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন মুদ্রানীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। কারণ এই বছর জাতীয় নির্বাচনের কারণে কালো টাকার প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজারে নগদ অর্থের প্রবাহে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল গত অর্থবছরের (জানুয়ারি-জুন) দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে।


এছাড়া ঋণ প্রবৃদ্ধি মাত্রারিক্ত বাড়ার কারণে ঋণের লাগাম টেনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণ আমানত অনুপাত কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। তবে ব্যাংকগুলোর চাওয়া অনুযায়ী নতুন এ হার কার্যকরের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মে শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭.৬০ শতাংশে। আগের মাস এপ্রিল শেষে যা ছিল ১৭.৬৫ শতাংশ। সম্প্রতি বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি ঋণ প্রবৃদ্ধি হয় গত বছরের নভেম্বরে। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৯.০৬ শতাংশ।


প্রসঙ্গত, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাজারে কী পরিমাণ টাকা ছাড়া হবে, তার একটি ধারণা দিতে প্রতি ৬ মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত জানুয়ারিতে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে এই বছরের জুনে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয় ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।


বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, গত মে পর্যন্ত বেসরকারি খাতে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯২ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। আগের বছরের মে শেষে যা ছিল ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। এতে এক বছরে ঋণ বেড়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।


ডেপু‌টি গভর্নর ও আবু হেনা মোহাম্মদ রা‌জি হাসান, এস এম ম‌নিরুজ্জামান, আহমেদ জামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট পরামর্শক আল্লা মালিক কাজেমী, ব্যাংকিং রিফর্ম অ্যাডভাইজার এস. কে. সুর চৌধুরী, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সল আহমেদ, অর্থনৈ‌তিক উপ‌দেষ্টা মোঃ আখতারুজ্জামানসহ সং‌শ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপ‌স্থিত এ সময় ছি‌লেন।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com