
বাংলাদেশের ওপর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। এ অবস্থায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) যত বৈদেশিক ঋণ এসেছে দেশে, পরিশোধ করা হয়েছে তার চেয়ে অনেকটা বেশি।
২০ অক্টোবর, রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র দেখা গেছে।
ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সুদ ও আসল মিলিয়ে ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে এই সময়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ঋণ ছাড় করাতে পেরেছে সরকার। অর্থাৎ এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি ছিল।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ঋণ ছাড় যেমন কমেছে, তেমনি ঋণ শোধও বেড়েছে। গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম প্রান্তিকে ১২৮ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ এসেছিল দেশে, যা এবারের চেয়ে ৪২ কোটি ডলার বেশি। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এবার ২৫ কোটি ডলার ঋণ বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।
অবশ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে কয়েকশো কোটি ডলার বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, এখন পর্যন্ত অর্থ ছাড় যেমন কমেছে, আবার ঋণ পরিশোধও বেড়েছে। ফলে ঋণ প্রাপ্তি ও পরিশোধের ভারসাম্য নেতিবাচক।
জানা গেছে, ঋণের অর্থ পরিশোধের জন্য জাতীয় বাজেটে আলাদা বরাদ্দ থাকে। তবে, ডলারের বাড়তি দাম ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের এ সময়ে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে।
বিবার্তা/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]