গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জিরানি এলাকায় রেডিয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় আইরিশ ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শ্রমিকরা কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু সময় অবরোধ করে রাখেন।
৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জিরানি এলাকায় আইরিশ ও রেডিয়াল নামে দুটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
জিরানী বাজার এলাকায় আইরিশ গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা তাঁদের কারখানায় ভাঙচুরের প্রতিবাদে আধা ঘণ্টা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, গতকাল পাশের রেডিয়েন্স কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। এসময় তাঁরা তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে নামতে আহ্বান জানান। কিন্তু আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় তাঁদের আইরিশ গার্মেন্টসে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প এলাকায় কারখানাগুলোতে চলছে উৎপাদন কার্যক্রম। সকাল ৮টার আগেই নারী-পুরুষ শ্রমিকেরা দলে দলে কাজে যোগ দিতে দেখা যায়।
গাজীপুরের ৮টি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া অধিকাংশ কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আজ সকাল থেকে পোশাককর্মীদের কাজে যোগ দিতে দেখা গেছে। কারখানা নিরাপত্তা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, জিরানী এলাকার রেডিয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পাশের আইরিশ ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদেরও তাদের সঙ্গে শামিল হতে বলেন। কিন্তু ওই কারখানার শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ না করায় আইরিশ ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় হামলা চালানো হয়। হামলা চালিয়ে বেশ কিছু মালামাল ভাঙচুর করেন তারা।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে আইরিশ কারখানার শ্রমিকরা রেডিয়াল কারখানায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এ সময় দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা চন্দ্রা নবীনগর সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে সকাল ১০টা থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছেন। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছেন। চন্দ্রা নবীনগর সড়কে এই মুহূর্তে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। এছাড়া জেলার আটটি কারখানা আজ বন্ধ আছে।
এর আগে বুধবার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় নায়াগ্রা টেক্সটাইল কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। এ ছাড়া চৌধুরী বাড়ি এলাকায় চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলনের মুখে ১২টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]