সাদা-কালো টেলিভিশনে ‘আলিফ লায়লা’র সেই গানে একটি ভিন্ন্য রকমের অনুভূতি রয়েছে। নব্বই দশকে যাদের জন্ম শুধু তারাই জানে। তবে এটা হয়তো অনেকেই জানে না ‘আলিফ লায়লা’ গানের গীতিকার কে? গানটি জনপ্রিয় হলেও আড়ালে রয়ে গেছেন জন্মান্ধ এ গানের স্রষ্টা ও গায়ক ও গায়িকারা।
কীভাবে তৈরি হয়েছিল কালজয়ী সে গান, জানেন? ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থা সাগর এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের ব্যানারে সুভাষ সাগরের প্রযোজনায় ভারতীয় সিরিয়ালটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
এটি নির্মাণ করেন আনন্দ সাগর, প্রেম সাগর ও মতি সাগর। ১৯৯৩ সালে তিন শতাধিক পর্বের ‘আলিফ লায়লা’ সিরিয়ালটি প্রথমে হিন্দি তারপর উর্দু এবং সবশেষে বাংলা ভাষায় ডাবিং করা হয়।
তাই তিন ভাষাতেই আলিফ লায়লার গানটিও তৈরি করা হয়। এ গানের মূল রচয়িতা বলিউডের রবীন্দ্র জৈন। গানটি লেখার পর সুরও করেন তিনি। তিনি জন্মান্ধ ছিলেন। তার লেখা ও সুর করা গানে কন্ঠ দেন মোহাম্মদ আজিজ ও কবিতা কৃষ্ণমূর্তি।
নব্বই দশকের তৈরি ভারতীয় এ সিরিয়াল এদেশে প্রচারিত হতো প্রতি শুক্রবার বিটিভি চ্যানেলে। রাত ৮টার সংবাদের পর প্রচারিত হওয়া সে বিদেশি সিরিয়াল দেখার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতো লাখ লাখ মানুষ।
নির্দিষ্ট সময় শুরু হতেই প্রতিটি ঘরে তখন শোনা যেত ‘আলিফ লায়লা’সিরিয়ালের সেই সুর। এরপর ২৩ মিনিট কাটত আতংক, ক্ষোভ আর পছন্দের চরিত্রকে জ্বীন, পরী বা দৈত্য-দানবের হাত থেকে রক্ষা করার প্রার্থনা দিয়ে। বুড়ো থেকে কিশোর, শিশু থেকে যুবক সবাই বুদ ছিল ‘আলিফ লায়লা’ সিরিয়াল ও এর গানে।
সিরিয়ালটি নির্মাণের সময় কেউ ভাবতে পারেনি জন্মান্ধ শিল্পীর তৈরি এ গানেই কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাবে বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক। জাদুর রাজ্যে বিমোহিত হবে কল্পবিলাসী মন। জনপ্রিয় এ গান এখনও দর্শক মনকে নিয়ে যায় রূপকথার আরব্য রজনীর সেই জিন-পরী আর দৈত্যে-দানবের দেশে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]