
বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে উত্তাল সারাদেশ। আর এর মধ্যে জড়িয়ে গেলেন সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান! প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জন গ্রেপ্তারের পর আলোচনায় উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের নাম। যিনি দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের মা।
সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা ওঠে, বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী তাহসানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম পিএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন তার গাড়িচালক ছিলেন। সে সময়েও প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে জড়িত ছিলেন আবেদ। ফলে তাহসানের মায়ের নামও উঠে আসে। আর সে থেকেই গুঞ্জন ওঠে মা জিনাতুন নেসার চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২৪ তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান। সেই পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে পরীক্ষা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়। এতে ভাইভাতে বাদ পড়েন তাহসান। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিং ইস্যু।
এদিকে তাহসান খান ইস্যুতে এবার কথা বললেন দেশের নন্দিত গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ।
১০ জুলাই, বুধবার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইল থেকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, তাহসানের নামে ছড়ানো খবরটি একেবারেই মিথ্যা, সম্পূর্ন মিথ্যা। এসব খবর নজর অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই।
তিনি আরও লেখেন, তাহসানের বাবা-মা দু’জনই অত্যন্ত সৎ মানুষ। ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সাধারণ সরকারি কর্মকর্তাদের বাচ্চাদের মতো বড় হয়েছে তাহসান। কোনো রকম বিলাসিতা দেখিনি। যা তাহসানের অর্জন সমস্তটা গানের জন্যই। বাই দ্য ওয়ে, প্রকৃত অসৎদেরকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এছাড়া প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, তাহসানের আম্মা জিনাতুন নেসা ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। আর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ২০১২ থেকে, মানে গত একযুগ বা ১২ বছর। তার গাড়ি চালাতো বলেই সে অপরাধী, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। তিনি দায়িত্বে থাকার সময় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল কি না বা প্রশ্নফাঁসের সময় থেকে তিনি কোনো দায়িত্বে ছিলেন কি না বা জড়িত ছিলেন কি না, সেটা আগে জানতে হবে। তারপর আশা করি আমরা তাকে দোষারোপ করব। যদি তিনি অপরাধী হন বা তার কোনো দায় থাকে।
বিবার্তা/ইমি/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]