
বিগত কয়েক বছরে জীবনে কম ঝড়ঝাপটার সম্মুখীন হননি অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। একের পর এক বিপর্যয় সামলেছেন তিনি। নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পরে মানসিক স্থিতিশীলতা হারিয়ে ছিলেন সামান্থা। ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
সম্পর্ক ভাঙার ক্ষত শুকোনোর আগেই ‘মায়োসাইটিস’ রোগ ধরা পড়ে সামান্থার। পেশির প্রদাহজনিত এই রোগে বছর দেড়েক ধরে ভুগছেন সামান্থা।
শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণার একসঙ্গে মোকাবিলা করেছেন দক্ষিণী এই অভিনেত্রী। জীবনের এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে কতটা ভেঙে পড়েছিলেন সামান্থা, সম্প্রতি সে প্রসঙ্গে কথা বললেন সামান্থা। অভিনেত্রী বলেন, ‘সেই পরিস্থিতিটা অসহনীয় ছিল।’
সম্পর্ক ভাঙার যন্ত্রণায় তখন কাতর সামান্থা। দাম্পত্য জীবনে ইতি টানার পরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন সামান্থা। ‘অটো ইমিউন ডিজিজ’-এ আক্রান্ত হন। হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় বেশ কিছু দিন।
সেই দিনগুলির কথা মনে করে সামান্থা বলেন, ‘জীবনের সবচেয়ে খারাপ একটি বছর সেটি। কীভাবে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরব বুঝতে পারছিলাম না। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। সবসময় মনে হত আমি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি। আমার আর কিছু অবশিষ্ট নেই। সব শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই সময়টা দাঁতে দাঁত চেপে সব সহ্য করেছিলাম। কারণ, আমি জানতাম ভাল সময় আসবেই।’
খারাপ সময় আসেই ভালো কিছুর প্রতিনিধি হয়ে। জীবনের বাধা বিপত্তি পেরিয়ে কাজে মন দিয়েছেন সামান্থা। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজ়ে নিজের অভিনয়ের জন্য প্রশংসা অর্জন করেছেন সামান্থা।
মার্ভেল খ্যাত রুশো ব্রাদার্সের আন্তর্জাতিক সিরিজ ‘সিটাডেল’-এর ভারতীয় সংস্করণে কাজ করছেন অভিনেত্রী। দক্ষিণী তারকা বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে ‘খুশি’ ছবিতেও প্রশংসিত হয়েছে তাঁর কাজ।
মায়োসাইটিসের চিকিৎসার জন্য গত বছরের মাঝামাঝি অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন সামান্থা। তবে ধীরে ধীরে অভিনয়ে ফিরছেন তিনি। আপাতত ‘সিটাডেল’ মুক্তির অপেক্ষায় অভিনেত্রী এবং তাঁর অনুরাগীরা।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]