টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি বরাবরই স্বাধীনচেতা ও ঠোঁটকাটা স্বভাবের মানুষ। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই অকপটে কথা বলতে দেখা গেছে। সামাজিক মাধ্যমে মাঝে মাঝেই খোলামেলা কথা বলতে দেখা যায় তাকে। কাওকে পরোয়া না করে নিজের ইচ্ছে মতো জীবন-যাপন করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তিনি। কখন কী করবেন, কী পরবেন, কোথায় কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন―এ নিয়ে সবসময় নিজের মনের চাওয়াকেই প্রাধান্য দেন।
নিজের বয়স লুকিয়ে রাখাটা তার স্বভাব-বিরুদ্ধ। অন্যান্য অভিনেত্রীরা যেখানে নো-মেকআপ লুকে ক্যামারায় নিজেকে সামনে আনতে চায়না, সেখানে চল্লিশোর্ধ এ নায়িকা নো-মেকআপ লুকে ছবি দিতেও ভয় পান না। যে কোনও পোশাকেও আত্মবিশ্বাসী তিনি। সাজ-পোশাকেও সবসময়ই চর্চায় থাকেন টলিপাড়ার এ নায়িকা। তবে শরীরের নানা অঙ্গ নিয়ে বারবার ট্রলের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। হাতকাটা ব্লাউজ, চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল- কোনো কিছুই বাদ যায়নি এ থেকে।
সম্প্রতি এক বই লঞ্চের অনুষ্ঠানে কালো রঙের স্লিভলেস পরে হাজির হন স্বস্তিকা। সেই মুহূর্তের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে স্বস্তিকা লিখেছেন, আমার হাত মোটা তাতে কি? হাতকাটা বেলাউজ পরতে ইচ্ছে করলে পরব! আর এটা বেলাউজ (ব্লাউজ) না, মেয়েদের টপ। আমরা মেয়েরা বড্ড ভয় পাই, লোকে কি বলবে। হাত আমাদের, ইচ্ছে আমাদের, বেলাউজের মাপ আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে।
স্বস্তিকার এই ভাবনার সঙ্গে নেটিজেনদের অনেকেই সহমত পোষণ করলেও অনেরকই আবার করেছেন কটাক্ষ।
এর আগে ট্রলিং নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে স্বস্তিকা বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী এত পরিবর্তনের মাঝে আমরা আশা করেছিলাম মানুষের ধ্যান ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। হ্যাঁ, অবশ্যই হয়েছে তবে তা শুধুই নিম্নগামী বা নরকের পথে পরিবর্তন। আজ শুধু আমি কেন, যেকোনো মেয়ে যদি পুরুষের মতো মদের দোকানে যায়, শর্টস পরে, সিগারেট খায় সাথে সাথে প্রশ্ন উঠবে। কিন্তু চুপ করে থাকার তো কোনো মানে নেই, প্রতিবাদ করতে হবে। না করলে সোশ্যাল মিডিয়াতে থাকারও মানে নেই।
স্বস্তিকাকে সবশেষ দেখা গেছে ‘নিখোঁজ’ ওয়েব সিরিজে। এর আগে শিবপুর সিনেমায় নিজেকে দুর্দান্তভাবে মেলে ধরেছিলেন এ নায়িকা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে বাবা-মায়ের পছন্দে এ বিয়ে করেছিলেন তিনি। জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে সংসার জীবনের ইতি টানেন এ অভিনেত্রী। দুধের শিশু কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন স্বস্তিকা। তারপর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে কন্যা অন্বেষাকে বড় করেন এই নায়িকা। মেয়েই এখন স্বস্তিকার বেস্ট ফ্রেন্ড।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]