
মার্কিন বংশোদ্ভূত জনপ্রিয় সংগীত তারকা টিনা টার্নার মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। সুইজারল্যান্ডের জুরিখের কাছে কুসনাখতে নিজের বাড়িতেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
টিনার দীর্ঘদিনের প্রচার কর্মকর্তা বেরনার্ড ডোহার্টি তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে জনপ্রিয় এই তারকার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে সম্প্রতি তার স্ট্রোক হয়। ভুগছিলেন কিডনির সমস্যাতেও।
টিনা তার ক্যারিয়ারের শুরু করেন ১৯৫০-এর দশকে ‘রক এন রোলের’ প্রাথমিক সময়ে। কিছুদিনের মধ্যেই এমটিভি-র সেনসেশন হয়ে যান। তার চার্ট-টপিং গান ‘হোয়াটস লাভ গট টু ডু উইথ ইট’। যেখানে তিনি প্রেমকে ‘সেকেন্ড-হ্যান্ড ইমোশন’ বলে অভিহিত করেছিলেন। যা এখনও সমানভাবে জনপ্রিয়।
টিনা টার্নার বললেই যেন মনে আসে নিউ ইয়র্কের রাস্তায় সোনালি চুল, মিনি স্ক্য়ার্ট, ক্রপড জিন্সের জ্যাকেট, স্টিলেটো পরে হেঁটে যাচ্ছেন হলিউডের এই গায়িকা। জোরালো কণ্ঠ, অফুরাণ উদ্যম, শক্তিশালী স্টেজ পারফরমেন্সের কারণে খুব সহজেই হয়ে উঠেছিলেন ‘রক এন রোলের’ রানি। রিও ডি জেনেরিওতে তার ১৯৮৮ সালের শোতে ১ লাখ ৮০ হাজার দর্শক জড়ো হয়েছিল, যা যে কোনও একক শিল্পীর জন্য সবচেয়ে বড় কনসার্ট।
গিটারিস্ট স্বামী ইকের সঙ্গেও গান গাইতেন একসঙ্গে। তাদের গাওয়া ‘প্রাউড ম্যারি’ ও ‘রিভার ডিপ’ গানগুলো জনপ্রিয়। ১৯৭৮ সালে বিচ্ছেদ হয়েছিল ইক আর টিনার। বিয়েতে থাকার সময় ইকের থেকে পাওয়া আঘাতের কারণে চোখে-মুখে কালশিটে ও শরীরের নানা জায়গায় চোট নিয়ে একাধিকবার তাকে ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে জন্ম নেয়া টিনা টার্নার আটবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। ২০২১ সালে রক অ্যান্ড রোলের হল অব ফেমে একক শিল্পী হিসেবে অনর্ভুক্ত করা হয় টিনার নাম। তার আগে যদিও গায়িকার নাম ছিল সেখানে প্রাক্তন স্বামী ইকের সঙ্গে।
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]