গুচ্ছ থেকে বের হতে কুবি ছাত্রশিবির ও সমন্বয়কদের স্মারকলিপি প্রদান
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০৫
গুচ্ছ থেকে বের হতে কুবি ছাত্রশিবির ও সমন্বয়কদের স্মারকলিপি প্রদান
কুবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামি ছাত্রশিবির ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।


বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপাচার্য বরাবর পৃথক দুটি স্মারকলিপি প্রদান করার মাধ্যমে তারা এই দাবি জানায়।


স্মারকলিপি দুটোতে বলা হয়েছে, গুচ্ছ একটি জটিল, অস্বচ্ছ এবং বৈষম্যমূলক পদ্ধতি। এ পদ্ধতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের স্বকীয়তা হারাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় নিজস্ব প্রশ্ন কাঠামোতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না বলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের যাচাইয়ের সুযোগ কমে যাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈচিত্র্য কমছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত প্রতিটি ব্যাচে সিট ফাঁকা থাকছে, যার হার পূর্ববর্তী যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।


গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী যাচাই-বাছাই, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক মান ও যথা সময়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কলা-কৌশলীদের নেতিবাচক মন্তব্য হরহামেশাই দেখা যায়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য জটিলতা তৈরি হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েরও গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ায় ভর্তি নেওয়া সময়ের দাবি।


এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গুচ্ছের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমগুলো অবনতির দিকে যাচ্ছে তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানও কমছে। এই দিকগুলো বিবেচনা করে আমাদের মনে হয়েছে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক নাঈমুর রহমান জানান, গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিভিন্ন অসুবিধা থাকার কারণে এই প্রক্রিয়া থেকে বের হওয়ার জন্য ভিসি মহোদয়ের কাছে স্মারক লিপি নিয়ে যাই। উক্ত বিষয়ে যাওয়ার পরে স্যার বলেছে এখনো পর্যন্ত এই পদ্ধতিতে না থাকার পক্ষে এবং গত কালকের মিটিং না থাকতে চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি। উনি মিটিংয়ে জানিয়েছেন থাকলে সবাই থাকবে না হয় আমরাও থাকবো না। এই বিষয়ে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর একটা মিটিং আছে সেখানে তিনি এটা উল্লেখ্য করবেন বলেছেন৷


এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে শুরুতে গুচ্ছতে না থাকার বিষয়ে মতামত জানিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অন্তত এই বছর যেন গুচ্ছতেই থাকি। আমাদের আসলে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বে যাওয়ার সুযোগ নেই। এবছর অন্তত গুচ্ছেই থাকছি। তারপরও আমাদের উপাচার্যদের একটা মিটিং রয়েছে। আমি সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর কথা জানাব। তারপর ফাইনালি সিদ্ধান্ত নিতে পারব।


বিবার্তা/প্রসেনজিত/জেএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com