
সিট দখল কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছেন কলেজ ছাত্রদলের তিন নেতা। ধাওয়া খেয়ে পালানো তিন নেতা হলেন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম কার্দী, সহ-সভাপতি রাশেদুল আমিন ও সহ-সাধারণ শাহ পরান।
২৮ অক্টোবর, সোমবার বহিরাগতদের নিয়ে ইব্রাহিম কার্দী, রাশেদুল আমিন ও শাহ পরানের নেতৃত্বে রাত ১০ টার দিকে ঢাকা কলেজের হল পাড়ায় শোডাউন বের করলে তাদেরকে প্রতিহত করে ছাত্রদলের আরেকটি গ্রুপ। সেখানে যুক্ত হন হলে থাকা ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা। পরে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ছাত্রদলের তিন নেতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা কলেজে বহিরাগতদের নিয়ে শোডাউন দেওয়ায় ছাত্রদলের তিন নেতাকে ধাওয়া দিয়েছে হলে থাকা ছাত্রদলের আরেকটি গ্রুপ। তিন নেতা বহিরাগতদের নিয়ে শোডাউন দেওয়ায় সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও যুক্ত হন এবং ধাওয়া দেন। পরে তড়িঘড়ি করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হলপাড়া থেকে পালিয়ে যান তিন নেতা। এ ঘটনায় সংঘর্ষের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, তিন নেতার উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা কলেজের হলের সিট দখল করা, এজন্য তারা বহিরাগতদের নিয়ে এসেছেন এবং শোডাউন দিয়েছেন। এর আগে একজন শিক্ষার্থীকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী ট্যাগ নিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছেন রাশেদুল আমিন ও শাহ পরানের কর্মীরা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাশেদুল আমিন বলেন, এসব ফালতু নিউজ আপনাকে (প্রতিবেদক) কে দেয়, ফালতু নিউজ কোথায় পান। এরকম কোনো ঘটনা ঘটে নাই। যে বা যারা বলছে, তারা অবশ্যই মিথ্যাচার করেছে। আমি সকালে ক্যাম্পাসে গেছি। কে বলেছে আমি সিট দখল করতে গেছি, না। আমি কলেজে যাইনি।
সহ-সভাপতি ইব্রাহিম কার্দি বলেন, ‘আমি এখন সেন্ট্রালে রাজনীতি করি, ছাত্রলীগের ওই ছেলের সাথে ঝামেলার আমার কোন সম্পর্ক নেই। রাতে সিনিয়র-জুনিয়র ঝামেলা হওয়ায় কথা বলে মিটমাট করে দিয়েছি।’
সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান বলেন, ‘আমি হল পলিটিক্স করি না। এর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি-সেক্রেটারী বসে সমাধান করে দিতে চেয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, সন্ধ্যার দিকে রাশেদুল আমিনকে ক্যাম্পাসে দেখেছি। এখন তারা এসব অস্বীকার করেছেন।
এর আগে, ২৮ অক্টোবর বিকেলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মাহফুজ রুপককে 'নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী' ট্যাগ দিয়ে ব্যাপক মারধর করেন রাশেদুল আমিন ও শাহ পরানের কর্মীরা। পরে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
রুপকের ব্যাচমেট ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাশেদুল রুপকের সিটে একজন জুনিয়রকে উঠাতে চাইছিল এবং রুপককে হল ছেড়ে যেতে বলেন। রুপক সিট না ছাড়ায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন রাশেদুল ও শাহ পরান।
বিবার্তা/সাখাওয়াত/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]