
'নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী' ট্যাগ দিয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মাহফুজ রুপককে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মাহফুজ রূপক ঢাকা কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং দক্ষিণ ছাত্রাবাসের ১০৮ নাম্বার রুমে থাকেন তিনি।
ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেলে রুপক কলেজের শহীদ মিনারের সামনে গেলে ছাত্রদল কর্মী ও ঢাকা কলেজের ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী শান্ত রুপকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। পরে শান্ত ও ছাত্রদল কর্মী মেহেদীসহ ৪-৫ জন ছাত্রদলের কর্মী মিলে বেধড়ক পেটান করেন এবং গুরুতর আহত করেন। পরে রুপককে উদ্ধার করতে ঢাকা কলেজের শিক্ষক রফিকুল আলম গেলে তার গায়েও হাত দেন ছাত্রদল কর্মীরা। মারধরের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেন। পরে তাঁকে নিউমার্কেট থানা পুলিশের হাতে সৌর্পদ করা হয়।
এ দিকে রূপকের সিটে আরেকজনকে উঠাতে কর্মীদের দিয়ে এমন ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাশেদুল আমিন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহ পরানের বিরুদ্ধে। রূপকের হোয়াটসঅ্যাপে রাশেদুলকে ম্যাসেজ পাঠানোর একটি ভিডিও এসেছে প্রতিবেদকের হাতে।
রুপকের ব্যাচমেট ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাশেদুল রুপকের সিটে একজন জুনিয়রকে উঠাতে চাইছিল এবং রুপককে হল ছেড়ে যেতে বলেন। রুপক সিট না ছাড়ায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন রাশেদুল ও শাহ পরান।
এক শিক্ষার্থী বলেন, রুপক ভাই আমার ডিপার্টমেন্ট এর সিনিয়র। তার বাবা নাই। হলে থাকা ছাড়া ওনার অন্য কোন ওয়েও নাই। দোষ করলে সেটা দেখার জন্য প্রশাসন আছে। দ্রুত ২২-২৩ এর জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, রুপক আগেও হলে ছিল, হলে থাকতে ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিল না রূপক। মাঝে মাঝে মিছিল-মিটিংয়ে যেতেন, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সঙ্গের কয়েকটি ছবি আছে, তাতেই তাকে হল থেকে নামাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছাত্রলীগ ট্যাগ দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এবং মারধর করেন। তার বাবা নেই। খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করেন। মূলত তাকে হল থেকে বের করতেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রদল নেতারা।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রাশেদুল আমিন বিবার্তাকে বলেন, "আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলোর ভিত্তি নাই।"
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস গণমাধ্যমকে বলেন, একজনকে শিক্ষার্থীরা মারধর করছিল, সেখান থেকে কয়েকজন শিক্ষক রিকভারি করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তবে সে ছাত্রলীগ করত কি না জানি না।
নিউমার্কেট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহসীন উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কিছু প্রমাণ পেয়েছি। তবে আরো যাচাই-বাছাই করে আইননুযায়ী ব্যবস্থানেওয়াহবে।
বিবার্তা/সাখওয়াত/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]