
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ প্রদর্শনীর এক ভিন্ন মাধ্যমের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের যাবতীয় অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ৭২টি সংবাদ এতে উপস্থাপন করা হয়।
২৩ জানুয়ারি, মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত হয় এ প্রদর্শনী। প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রদর্শনীতে বাধার সম্মুখীনের হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সমিতির নেতাকর্মীরা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সমস্যা নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদগুলো নিয়ে আজকে আমরা এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের এই কর্মসূচি চলছে। আমরা ভিসি ও প্রোভিসির পদত্যাগের দাবিতে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আগামীকালও আমাদের এই কর্মসূচি চলবে এবং সামনে নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুল হক বলেন, বর্তমান প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন দুর্নীতির যে অভিযোগগুলো ছিল তা থেকে বিরত থাকতে উপাচার্য ও উপ উপাচার্যকে আমরা এক দেড় বছর যাবত বলে আসছিলাম। আমরা বলেছি ৭৩ এর আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেন এবং ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখেন।
আজকে আমরা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রকাশিত নিউজগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করে ৭২টি নিউজ প্রদর্শন করেছি। এটি একটি আশ্চর্যের বিষয় যে, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে এতগুলো সংবাদ বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য পত্র-পত্রিকায় এসেছে যে সেগুলো নিয়ে একটা প্রদর্শনীর আয়োজন করা সম্ভব।
এ থেকে বোঝা যায় কি পরিমাণ অন্যায্য কর্মকাণ্ড এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে! দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে এত নিউজ করা হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে কিনা সন্দেহ আছে।
কর্মসূচিতে বাধা প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে আজকের সংবাদ প্রদর্শনীর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ঢুকার সময় প্রক্টরিয়াল বডি বাধা দেয়। পরে আমরা গিয়ে আমাদের সরঞ্জামাদি নিয়ে আসি। এরপর প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে আমাদেরকে ভিসির সাথে আলোচনায় বসার কথা বলা হলে, আমরা জানিয়েছি আজকে আমাদের একটা কর্মসূচি আছে সকল শিক্ষকের সাথে মতবিনিময় করে আলোচনায় বসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অপরদিকে বাধা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোনোকিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। শিক্ষক সমিতির আন্দোলনে আমরা আজকে কেন, কোনোদিনই বাধা দেইনি।
বিবার্তা/মহসিন/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]