ছাত্রলীগের নেতাদের মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনের বিচার চান শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:২৪
ছাত্রলীগের নেতাদের মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনের বিচার চান শিক্ষার্থীরা
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুনের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় ধরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে একজনের দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে।এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে তারা।


১০ সেপ্টেম্বর, রবিবার দুপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা এডিসি হারুনের বিচার চেয়ে আন্দোলন করছে।


ভুক্তভোগীরা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীম।


উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় দুই নেতাকে শাহবাগের থানার ভেতর নিয়ে তাদের বেধড়ক মারধর করে বলে জানায় ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী।


নেতাকর্মীরা জানান, শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে এক নারী কর্মকর্তার সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন৷ ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী ছাত্রলীগের এই নেতাকে নিয়ে আড্ডাস্থলে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। এডিসি হারুনের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়।


পরে এডিসি তাদের দুইজন নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান এবং বেধড়ক মারধর করেন। অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে তাদের দুজনকেই হাসপাতালে পাঠানো হয়।


এদিকে ঘটনার জের ধরে এডিসি হারুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।


এডিসি হারুনের উপর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি হারুনকে যেন বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয়।এর আগেও হারুন সাংবাদিকদের উপর নির্মম হামলা করেছেন, আইনজীবিদের উপর হামলা করেছেন, এমনকি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছেন, সে সন্ত্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।


শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, তাদের অপরাধ থাকলে তাদের মামলা দিন। বিচার করুন। কিন্তু এত নির্মমভাবে তাদেরকে আক্রমণ করার অধিকার কে দিল? সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করা হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব বিষয়ে সবসময়ই একটি নীরব ভূমিকা পালন করেছে। আমরা আশা করি সাধারণ শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আন্দোলন করবে।


আন্দোলরত শিক্ষার্থী মনোয়ার হোসেন বিবার্তাকে জানান, প্রক্টর টিম থানায় যোগাযোগ করলে এডিসি হারুন বলে তারা এ ধরনের কিছু জানে না।হারুন এর আগেও অনেক সাংবাদিক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীর উপর তার নির্যাতন করেছে।সে একজন টেরোরিস্ট। শুধু প্রত্যাহার করলে কিছু হবে না। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।


আরেকজন শিক্ষার্থী মো. রিয়াজ মাতুব্বর বিবার্তাকে জানান, হারুনের শাস্তি যেন একটা নিদর্শন হয়ে যায় যেন ভবিষ্যতে কেউ কোনো শিক্ষার্থীর গায়ে হাত না তোলে। আমরা এখানে অবস্থান করছি আগামীতে আরো চালিয়ে যাব।


বিবার্তা/ছাব্বির/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com