চলতি বছরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের তিনটি শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত বই দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। নতুন এ শিক্ষাক্রমের পাশাপাশি আগের শিক্ষাক্রমের বেশকিছু বইয়ে ভুল ও চৌর্যবৃত্তির (লেখা চুরি) অভিযোগ উঠলে তা নিয়ে সরব হয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ইতোমধ্যে তিন বইয়ের নয়টি ভুল সংশোধন করেছে সংস্থাটি।
এবার এসব ভুলের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবে এনসিটিবি। আগামী সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের সঙ্গে এনসিটিবির বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেছেন, ভুলের বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। যারা ভুল করেছেন এবং প্লেজিয়ারিজমের (চৌর্যবৃত্তি) সঙ্গে জড়িত, তাদের আগামীতে পাঠ্যপুস্তক এবং তৎসংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত করা হবে না।
তিনি বলেন, যেসব ভুল রয়েছে, তার সংশোধনী ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে এবং এনসিটিবির ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে; যেখানে সারা দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের সংযুক্তি রয়েছে। আমরা তাদের একটি ইন্সট্রাকশন (নির্দেশনা) দিয়েছি।
এবার শ্রেণিভেদে শিক্ষার্থীরা দুই ধরনের বই হাতে পেয়েছে। এর মধ্যে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে নতুন বই হাতে পেয়েছে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পুরনো শিক্ষাক্রমের আলোকে বই হাতে পেয়েছে।
নতুন পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে প্রথম আলোচনায় আসে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই। তার প্রথম অধ্যায় জীববৈচিত্র্য পাঠে দেখা যাচ্ছে, এর বেশকিছু অংশ পুরোপুরি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইট থেকে হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে যখন ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় তখন এর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান।
বিবার্তা/এমএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]