ত্বকী হত্যা মামলায় আরও একজন গ্রেফতার
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫২
ত্বকী হত্যা মামলায় আরও একজন গ্রেফতার
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।


১ অক্টোবর, মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় খাগড়াছড়িগামী একটি বাস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।


গ্রেফতার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে জামাই মামুন (৪০) বরিশাল সদরের চরমোনাই এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিমের ছেলে এবং ত্বকী হত্যায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠা আজমেরী ওসমানের খালাতো বোনের জামাই।


আজমেরী নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ভাতিজা।


২০১৪ সালে মার্চে ত্বকী হত্যা মামলায় র‌্যাবের ফাঁস হওয়া একটি তদন্ত প্রতিবেদনে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে তার ব্যক্তিগত কার্যালয় ‘উইনার ফ্যাশন’ নামে ‘টর্চার সেলে’ নির্মমভাবে নির্যাতন করে ত্বকীকে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।


ওই প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডে ১১ জনের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়। তাদের মধ্যে মামুনের নামও রয়েছে।


মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, ত্বকী হত্যা মামলায় গ্রেফতার একাধিক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার মামুনের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছেন।


মামুন দীর্ঘদিন ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে তাবলীগ-জামাতের ছদ্মবেশে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির রামগড় যাওয়ার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান হয়, গ্রেপ্তারের পর মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমাণ্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।


তবে আদালত রিমাণ্ড শুনানির জন্য আগামী ৬ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেছেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ।


নারায়ণঞ্জের সাংস্কৃতিক ও নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শিল্পী রফিউর রাব্বির বড় ছেলে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। ২০১৩ সালের ৬ মার্চ এই কিশোর শহরের শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় একটি পাঠাগারে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয়। পরদিন তার ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়, যেখানে দেখা যায় ত্বকী সারা বিশ্বে পদার্থবিজ্ঞানে ৩০০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৯৭ পেয়েছিলেন। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।


তবে দীর্ঘ সাড়ে ১১ বছরেও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্রও দাখিল করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com