
রাজধানীর বংশাল ও রামপুরায় পৃথক ঘটনায় দুই নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহতরা হলেন- বংশালের গৃহবধূ মোছা. সালমা বেগম (৪০) ও গৃহকর্মী মোছা. সোনিয়া আক্তার (১৪)।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ৯ টায় ও রাত ১টার দিকে ঘটনাগুলো ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আড়াইটার দিকে আসমা ও সোনিয়াকে রাত সোয়া ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আসমার বোন মুন্নি বেগম বিবার্তাকে বলেন, ১৭-১৮ বছর আগে দিলওয়ার হোসেনের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার তিনবার সন্তান প্রসব হলেও একজনও বাঁচে নি। এজন্য গত এক মাস আগে, আমার বোন দেলোয়ারকে ডিভোর্স দেয়। এরপর থেকে আসমা আমাদের বাসাতেই থাকতেন। তিনি সবসময়ই বিষণ্নতায় ভুগতেন। আসমা আবারও স্বামী দেলোয়ারের সঙ্গে সংসার করতে চাইলে, তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন। এই নিয়ে অভিমানে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
মুন্নি বেগম আরো জানান, নিহত আসমার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী সদর জেলার নারাপাছা গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত মনু মিয়া। রাজধানীর বংশালের নিমতলীর নবাব কাটারা এলাকার ২৩/৫ নম্বর বাসায় থাকতেন তিনি। তারা তিন বোন ও দুই ভাই।
অপরদিকে, রামপুরার গৃহকর্মী সোনিয়ার কর্তা নাজগীর বিবার্তাকে বলেন, ছয় মাস আগে তার বোন আমাদের বাসায় কাজের জন্য নিয়ে আসে। গতরাতে আমার বাসার বারান্দায় ব্যায়াম করার রিং এর সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতাল নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হলে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোয়া ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাজগীর আরো বলেন, নিহত সোনিয়ার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর জেলার কাঠপট্টি গ্রামে। তার বাবার নাম দুলাল মিয়া। রামপুরা বনশ্রী এলাকার ব্লক-সি এর ২৪/১ বাসায় গৃহকর্মী কাজ করতো সে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয় দুটি নিশ্চিত করে বিবির্তাকে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয় দুটি সংশ্লিষ্ট থানা গুলোকে অবগত করা হয়েছে।
বিবার্তা/বিসি/এসএফ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]