বরগুনায় নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর সুজন ফরাজী (২৪) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালের দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ৪ নম্বর কেওরাবুনিয়ার জাকিরতবক এলাকার বাসিন্দা ইন্তাজ আলীর মেয়ে নিলুফা ফারাজীর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুজন একই এলাকার বাসিন্দা বাদল ফরাজীর ছেলে। এর আগে, সন্তানের খোঁজ পেতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাবা বাদল ফরাজী। এর ১২ ঘণ্টা পরই খোঁজ মেলে ওই যুবকের।
স্থানীয় লোকজন ও স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, গত ২০ আগস্ট বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ঘটবাড়িয়া বাজারে আরিফ নামের এক যুবকের মোবাইল ফোনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভিডিও থাকাকে কেন্দ্র করে ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকেই ওই এলাকার নিহত সুজন ফরাজী নিখোঁজ হন। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে কোনো সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বরগুনা সদর থানায় একটি জিডি করেন নিখোঁজ সুজনের মা তসলিমা বেগম। পরে শনিবার সকালের দিকে কেওরাবুনিয়া ইউনিয়নের জাকিরতবক নামক এলাকার বাসিন্দা ইন্তাজ আলীর মেয়ে নিলুফা ফারাজীর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে নিহতের বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত সুজনের চাচা দুলাল ফরাজী বলেন, গত ২০ আগস্ট এলাকায় যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তারপর থেকেই সুজন নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজার পরেও তাকে না পেয়ে গতকাল রাতে থানায় একটি জিডি করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচ থেকে ছয়জনকে যারা কুপিয়ে জখম করেছে, তারাই সুজনকে খুন করতে পারে বলে ধারণা করছি।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুজন ফরাজী নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনার সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]