নির্যাতনের ১২ বছর পর ওসিসহ ৯ পুলিশের নামে মামলা
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৫২
নির্যাতনের ১২ বছর পর ওসিসহ ৯ পুলিশের নামে মামলা
খুলনা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

খুলনা সদর থানায় নিয়ে ছাত্রদল নেতাকে ঝুলিয়ে নির্যাতনের আলোচিত ঘটনার ১ যুগ পর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামানসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


১৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার ঘটনার ভুক্তভোগী খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদুল হক টিটো বাদি হয়ে খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি নগরীর টুটপাড়া মেইন রোডের এস এম এমদাদুল হকের ছেলে।


মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- ওই থানার তৎকালীন এসআই মো. শাহ আলম, মো. জেলহাজ্ব উদ্দিন, তৎকালীন পুলিশের সোর্স কাসেম, জাহিদ, তারক, ইস্রাফিল, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) তৎকালীন কমিশনার শফিকুর রহমান ও তৎকালীন ডিসি (সাউথ)।


আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে কেএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।


২০১২ সালের ২২ এপ্রিল বিএনপির হরতাল চলাকালে পুলিশ আটক করে মাহমুদুল হক টিটো ও আরেক ছাত্রদল নেতা ফেরদৌস রহমান মুন্নাকে।


মামলার এজাহারে বলা হয়, সেদিন আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার শফিকুর রহমান ও ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ওসি এস এম কামরুজ্জামানসহ আসামিরা মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি ও সরকারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাহমুদুল হক টিটো ও ফেরদৌস রহমান মুন্নাকে জোরপূর্বক আটক করেন। তাদের হাতকড়া পরিয়ে ও চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে থানায় নিয়ে আসা হয়।


পরে মাহমুদুলকে হাতকড়া পরা অবস্থায় থানার ভেতরে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের বেধড়ক মারধরে মাহমুদুল অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওসি কামরুজ্জামান তখন পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘-লার জ্ঞান ফেরা, আমাদের আরও কাজ বাকি আছে।’


তখন আসামি এসআই মো. জেলহাজ্ব উদ্দিন চোখে-মুখে পানি দিয়ে মাহমুদুলের জ্ঞান ফেরান। কিন্তু তিনি কোনোভাবেই বসতে পারছিলেন না। আসামিরা তাকে বারবার লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে তৎকালীন ওসি বাদীর পেটে লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেন। বলেন, ‘-লাকে ক্রসফায়ারের জন্য গাড়িতে ওঠা, সব জানতে পারবো’।


তখন মাহমুদুল মেঝেতে পড়ে থাকলে আসামিরা পুনরায় পেটাতে থাকেন। এতে তার হাড় ভেঙে যায় এবং তিনি জখম হয়ে জ্ঞান হারান। পুলিশ কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারের নির্দেশে পরে তাদের জেলহাজতে রাখা হয়। শুধু তাই নয়, সেদিন পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে, যার প্রধান আসামি করা হয় মাহমুদুলকে এবং ছাত্রদল নেতা ফেরদৌস রহমান মুন্নাও ছিলেন আসামির তালিকায়।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com