চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙার সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হাবিব (৩৬) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) হাবিব মারা যান তিনি। গত শনিবার দিনগত রাতে মারা যান আহমেদ উল্লাহ (৩৮) ও রবিবার রাতে খায়রুল শেখ (২১) মারা যান।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধ হাবিব চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন আরো পাঁচজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে তিনজনকে আইসিইউতে এবং দুইজনকে এইচডিইউ’তে রাখা হয়েছে। দগ্ধের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
বর্তমানে বরকত উল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেন ২৫ শতাংশ, আল আমিন ৮০ শতাংশ, জাহাঙ্গীর আলম ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেম ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। এদের মধ্যে আনোয়ার ও হাবিব এইচডিইউতে আর বাকি ৩ জন আইসিইউতে রয়েছেন।
মৃত হাবিবের শ্যালক মো. হিমেল জানান, তাদের বাড়ির জামালপুর সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামে। হাবিবের বাবা মৃত ফরিদ উদ্দিন। সীতাকুণ্ডের ওই কারখানায় কাজ করতেন হাবিব। থাকতেন কারখানার একটি মেসে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে শনিবার দিবাগত রাতে তাকে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শীতলপুর সাগর উপকূলে শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এসএন করপোরেশনের জাহাজ ভাঙা শিপ ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের কাটিং কাজ করার সময় তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ হন ১২ জন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আটজনকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
বিবার্তা/বুলবুল/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]