কেরুর ৩০ লাখ টাকার ডিএস গায়েব, গোডাউন সিলগালা
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ২০:৫২
কেরুর ৩০ লাখ টাকার ডিএস গায়েব, গোডাউন সিলগালা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চুয়াডাঙ্গার কেরু চিনিকলের ডিস্টিলারী বিভাগের প্রায় ৩০ লাখ টাকার (১৩ হাজার ১৯০ দশমিক ৭৫ লিটার) ডিএস (ডি‌নেচার স্প্রি‌রিট) গায়েবের ঘটনায় ডিএস গোডাউন সিলগালা করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।


২৭ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শারমিন আক্তার এই ডিএস (ডি‌নেচার স্পিরিট) গোডাউনে সিলগালা করেন।


ডিস্ট্রিলারী ডিএস (ডি‌নেচার স্পিরিট) গোডাউনে সিলগালা সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ডিস্ট্রিলারী মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মনোয়ার হোসেন।


একইসাথে স্পিরিট গায়েবের ঘটনা তদন্তের জন্য খুলনা বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।


তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন, যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসলাম হোসেন, ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সরকারি পরিচালক গোলক মজুমদার ও মেহেরপুর মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাশেম।


প্রসঙ্গত, ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান ইনচার্জ (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় ডিএস (ডি‌নেচার স্পিট) ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরেজমিনে গভীরতা পান ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুদ ৩৫ হাজার ৫ শত ১২.২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুদ দেখা‌নো হয় ৩৯ হাজার ৭শ ১১.৫৫ লিটার।


৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরেজমিনে গভীরতা ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুদ ৪ হাজার ৮ শত ৪.৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুদ দেখা‌নো হয় ১৩ হাজার ৭ শত ৯৫.৭৩ লিটার।


এছাড়া ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি মালামাল কম আছে। ভ্যাট নাম্বার ৩ ভ্যাট নম্বর ৭ ও ভ্যাট নাম্বার ১০ বাস্তবিক মজুদ অনুযায়ী ১৩ হাজার ১ শত ৯০.৭৫ লিটারের বেশি মালামাল কম থাকায় আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেনি।


এ ব্যাপারে ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গত ২ মে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দায়ের করেন।


ওই অ‌ভি‌যোগ পত্রে বিষয়টি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।


এসব মালামাল গায়েবের ঘটনায় অভিযোগের তীর কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভাগে ব্র্যান্ডেড ওয়্যারহাউজের (ডিস্টিলারি ভাণ্ডার) সাবেক ইনচার্জ এ কে এম মাজেদুর রহমান ওরফে তুফানের দিকে।


উল্লেখ্য, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভাগে ব্র্যান্ডেড ওয়্যারহাউজে কর্মরত সহকারী ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন পদোন্নতি পেয়ে ইনচার্জ হন। এর আগে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ডিস্টিলারি বিভাগে ব্র্যান্ডেড ওয়্যারহাউস ইনচার্জ ছিলেন এ কে এম মাজেদুর রহমান ওরফে তুফান।


বিবার্তা/আসিম/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com