
চলমান ভ্যাপসা গরমে বাগেরহাটের ফকিরহাটে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। লোডশেডিংয়ে বেশি ভুগছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ।
বুধবার (২৬ জুন) উপজেলায় দিনে ১৭.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ ছিল মাত্র ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ফলে উপজেলার প্রায় সবখানেই লোডশেডিং ছিল।বর্তমানে বরাদ্দ কম থাকায় গ্রাহক পর্যায়ে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না।
উপজেলার সদর, মূলঘর, হোচলা, নোয়াপাড়া, ভট্টখামার, শ্যামবাগাত, শুভদিয়া, খাজুরা এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই সব এলাকায় প্রায়ই মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত একাধিকবার লোডশেডিং হয়।
এছাড়া দিনের বেলা এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলেও পরবর্তী এক থেকে দেড় ঘণ্টা বা তার বেশি লোডশেডিং থাকে।
উপজেলার ভট্টখামার এলাকার মেহেদি হাসান জানান, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত একাধিকবার লোডশেডিং থাকায় ঘুমাতে পারেননি।
হোচলা গ্রামের নুরজাহান বেগম জানান, দিন-রাত গড়ে ৮-৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুবই কষ্ট হয়।
ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা জানান, ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়াই কাজকর্ম ও জীবনযাপন ভোগান্তি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ফকিরহাটে মোট ৪৮ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। ফলে প্রতিদিন গড়ে ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
লোডশেডিংয়ের বিষয়ে ফকিরহাট পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. ফাখরুল ইসলাম জানান, ‘ফকিরহাটে চাহিদার তুলনায় ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাওয়াই বাধ্য হয়ে এলাকাভেদে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বরাদ্দকৃত বিদ্যুৎ সমন্বয় করে বণ্টন করা হচ্ছে।’
বিবার্তা/সুমন/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]