
দেশে নতুন এক আতঙ্কের নাম রাসেলস ভাইপার সাপ। বিষধর এ সাপের ছবি আর তার নানা রকম ব্যাখ্যা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিনিয়তই এই বিষধর সাপটি নিয়ে নেতিবাচক খবর দেখা যাচ্ছে।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গাতেও রাসেলস ভাইপারের ছবিসহ ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে চুয়াডাঙ্গায় এখনো এ সাপেরে সন্ধান মেলেনি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে বলা হচ্ছে দামুড়হুদায় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর সেই সাপটি পিটিয়ে মারার একটি ভিডিও জেলার বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। তবে জানা গেছে, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি চুয়াডাঙ্গার নয়।
দামুড়হুদায় যে সাপটি মারা হয়েছে সেই মৃত সাপটির নাম গোখরা বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পানকৌড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা বখতিয়ার হামিদ।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় গত ২০ দিনে অর্থাৎ ৩ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত সাপের কামড়ে এক শিশু, স্কুল শিক্ষার্থীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় দুইজন ও বাকি দুজন দামুড়হুদা উপজেলার।
চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে ১০০-১৫০ ডোজ (১০টায় ১টি ডোজ) অ্যান্টিভেনম মজুদ আছে।
জেলা সদর হাসপাতাল ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও মজুদ আছে অ্যান্টিভেনম। তবে জেলার দুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম মজুদ থাকলেও জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুদ নেই অ্যান্টিভেনম।
এ প্রসঙ্গে জীবন নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাফাউল্লাহ নেওয়াজ জানান, বেশ অনেক দিন থেকে অ্যান্টিভেনমের চাহিদা দিয়ে এলেও আজ পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ পাইনি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, আমাদের এখানে অ্যান্টিভেনম নেই। দু-একদিনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে নিয়ে আসা হবে।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটা রোগীর অ্যান্টিভেনম মজুদ আছে। একইসাথে আরও চাহিদা দেওয়া আছে। আশা করছি দ্রুত সময়ে চাহিদা অনুযায়ী অ্যান্টিভেনম পেয়ে যাব।
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আউলিয়ার রহমান নয়ন বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপের বিস্তার সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য মেলেনি। তাছাড়া চুয়াডাঙ্গায় এখন পর্যন্ত রাসেল ভাইপার সাপে কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, যদি কেউ এই সাপে আক্রান্ত হন তাকে ওঝার (কবিরাজ) কাছে নিয়ে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুত আছে। প্রয়োজনে আমরা আরও অ্যান্টিভেনম নিয়ে আসব।
বিবার্তা/আসিম/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]