খানসামায় পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্ষোভ
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ১৯:২৫
খানসামায় পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্ষোভ
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে দিনাজপুরের খানসামায় পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।


শুধু তাই নয় খাজনা আদায় করে রশিদ দেওয়া হলেও সেখানে উল্লেখ করা হচ্ছে না খাজনার পরিমাণ। এতে হাটে গরু, ছাগল ক্রয় করে খাজনা’র টাকা দিতে গিয়ে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠছে। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছেই নেওয়া হচ্ছে অর্থ। তাই উপজেলার একমাত্র পশুরহাট পাকেরহাটে কোরবানির পশু কিনতে আসা ক্রেতারা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


১১ জুন, মঙ্গলবার উপজেলার পাকেরহাটে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি গরুর জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ৫৫০ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে ৭০০ টাকা। আবার প্রতিটি ছাগল-ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকার স্থলে ২৫০-৩০০ টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। যা সরকার নির্ধারিত টোলের চেয়ে প্রতি গরু ১৫০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল-ভেড়া ১০০-১৫০ টাকা বেশি।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতি গরু ৫৫০ টাকা ও প্রতিটি ছাগল-ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়। গবাদিপশুর ক্ষেত্রে শুধু ক্রেতা টোল দেবেন। তবে শুধু ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও হাটের ইজারাদারের লোকজন বিক্রেতাদের কাছ থেকেও গরু প্রতি ১০০-২০০ টাকা এবং ছাগল ও ভেড়া প্রতি ৫০-১৫০ টাকা আদায় করছেন।


উপজেলার আংগারপাড়া এলাকা থেকে ছাগল কিনতে আসা তরিকুল ইসলাম বলেন, কুরবানি করার জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে ছাগল কিনে ২৫০ টাকা খাজনা দিতে হলো। সরকারের নির্ধারিত খাজনা ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা থাকলেও হাটের লোকজনকে অতিরিক্ত ১০০ টাকা দিতে হচ্ছে।


কুরবানির গরু কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আমরা ৪ জন মিলে ৬০ হাজার টাকায় গরু কিনে এখানে খাজনা দিতে হইলো ৭০০ টাকা। শুধু ক্রেতাদের কাছে টোল নেওয়ার কথা থাকলেও আমাদেরকেও বাধ্য হয়ে দিতে হলো।


আংগারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও হাট কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা আহমেদ শাহ বলেন, অন্যান্য সময় সরকার নির্ধারিত মূল্যে খাজনায় আদায় করা হয়। তবে ঈদের কারণে একটু বেশি আদায় করা হচ্ছে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাস কালেকশন আদায় কমিটির সভাপতি মো. তাজউদ্দিন বলেন। খাজনা আদায়ে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। সরকার নির্ধারিত খাজনা উল্লেখ করে বাজারে চার্ট টানিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। খাজনা আদায়ের সময় রশিদ সরবরাহ করা বাধ্যতামূলক।


বিবার্তা/জামান/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com