
উত্তর দিক থেকে হু হু করে বয়ে আসা হাড় কাঁপানো হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশায় থমকে গেছে চুয়াডাঙ্গার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন। সবচে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
অসহ্য শীতের সঙ্গে মাঝারি থেকে গাঢ় কুয়াশায় সন্ধ্যার পর থেকে ভোর-সকাল এমনকি কখনো কখোন দুপুর অবধি ঢাকা পড়ছে শহর থেকে গ্রামগঞ্জ। কনকনে ঠান্ডায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।
শীতল বাতাস আর কুয়াশায় সর্দি-কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়েছে জেলায়। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে।
জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে খড়কাঠে আগুন লাগিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
জেলায় সরকারিভাবে এ বছর সাড়ে ১৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এছাড়া হাতেগোনা কয়েকটি বেসরকারি সংগঠণের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
দিনমজুর হাসিবুলবমিয়া বলেন, কুয়াশা হিম ঠান্ডা বাতাসের সাথে কনকনে শীত। মাঠে কাজ করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। কাজের ফাকে আগুনের তাপ দিয়েও শীত যাচ্ছে না। কিন্তু কিছুই করার নেই।
রিকশাচালক জব্বার হোসেন বলেন, ভোরে আর রাতে বেশি ঠান্ডা লাগছে। ভাড়া মারতে পারছি না ঠিক মতো। আগের তুলনায় আয় অনেক কমে গেছে।
২০ জানুয়ারি, শনিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা ছিলো ১০০ শতাংশ।
আর সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। ঘণ কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটারে নেমে এসেছে।
জেলার জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার আধিক্য কেটে যাবে। দুপুর নাগাদ সূর্যের দেখা মিলতে পারে। জেলায় তাপমাত্র আরও কমার সম্ভাবনা আছে।
বিবার্তা/আসিম/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]