
ঘন কুয়াশা আর উত্তর দিক থেকে হু হু করে বয়ে আসা হাড় কাঁপানো হিমেল হাওয়ায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন। এ অবস্থায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
একদিকে উত্তরের হিমেল কনকনে হাওয়া অন্যদিকে অসহ্য শীতের সঙ্গে মাঝারি থেকে গাঢ় কুয়াশায় সন্ধ্যার পর থেকে ভোর-সকাল এমনকি কখনো কখোন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা পড়ছে শহর থেকে গ্রামগঞ্জ।
শীতল বাতাস আর কুয়াশায় সর্দি-কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির প্রকোপ বেড়েছে জেলায়। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে।
কনকনে ঠান্ডার কারণে অনেকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে জীবন-জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন। শীতের কারণে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
দিনমজুর আব্দুল জলিল বলেন, কদিন ধরে খুব কুয়াশা হিম ঠান্ডা বাতাসের সাথে কনকনে শীত। মাঠে কাজ করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। আগুনের তাপ দিয়েও শীত যাচ্ছে না। কিন্তু কিছুই করার নেই।
রিকশাচালক হোসেন আলী বলেন, ভোরে আর রাতে বেশি ঠান্ডা লাগছে। ভাড়া মারতে পারছি না। আয় কমে গেছে। এখন আমরা খাব কি? সরকারিভাবে সহায়তা না পেলে না খেয়ে থাকতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ।
আর সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ।
বুধবার, ১০ জানুয়ারি সকালে ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা ছিলো দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা।
জেলার জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার আধিক্য কেটে যাবে। তবে শীত বাড়বে। জেলায় তাপমাত্র আরও কমার সম্ভাবনা আছে।
বিবার্তা/সাঈদ/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]