নাটোরের গুরুদাসপুর থেকে সংক্রামিত গ্রাণঘাতি পিপিআর নির্মুল করতে একলক্ষ দশ হাজার ৬৩০টি ছাগল ও ভেড়ারকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।
পিপিআর ও ক্ষুরা রোগ নির্মূল প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সহযোগিতায় ওই ক্যাম্পাইনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও হাসপাতালের সামনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা.সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) শ্রাবনী রায়, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মেহেদী হাসান শাকিল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার এমদাদুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসান আক্তার, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুরের ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১-৯ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ টিকা কার্যক্রম। উপজেলার প্রতিটি ছাগল-ভেড়াকে টিকার আওতায় আনতে প্রতিটি ইউনিয়নে ১৮টি ও ওয়ার্ডে ৩/৪টি ক্যাম্প করা হবে।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, পিপিআর রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এ রোগে আক্রান্ত ছাগল-ভেড়ার শরীরে হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে নাক, মুখ, চোখ দিয়ে পাতলা তরল পদার্থ বের হয়। পরবর্তীতে তা ঘন ও হলুদ বর্ণ ধারণ করে। ওজন হ্রাসসহ অনেক সময় ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। এভাবে প্রাণীটি আক্রান্তের পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে মারা যেতে পারে। তিনি টিকার সুফল গ্রহণ করতে খামারীসহ সবার প্রতি আহবান জানান।
সাংসদ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, সরকার প্রাণিসম্পদ রক্ষায় যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পশুসম্পদ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি পালনকারী খামারীদের সচেতনতা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়াতে হবে।
বিবার্তা/জনি/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]