বাড়তি দামেও চিলমারীতে জমে উঠছে ঈদ বাজার
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৩, ১২:২২
বাড়তি দামেও চিলমারীতে জমে উঠছে ঈদ বাজার
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জমে উঠেছে কুড়িগ্রামের চিলমারীর কাপড়ের বাজার গুলো। প্রতিটি পোষাকের দাম বাড়লেও আশানুরুপ বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাপড় ব্যবসায়ীরা। গত বছরের ঈদ বাজার থেকে এ বছর বাজারে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতার সংখ্যা। গেল ঈদ বাজারের তুলনায় এ বছর বেচা বিক্রিও বেশি হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।


ক্রেতারা বলছে, প্রতিটি কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদ ঘিরে কাপড় কিনতে হবে বলেই চড়া মূল্যে কাপড় সংগ্রহ করছেন তারা। উপজেলা সদরের বড় কাপড়ের বাজার থানাহাট বাজার। এ বাজারে রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক কাপড়ের দোকান। আশপাশের কয়েক স্থানে কাপড়ের দোকান থাকলেও সেসব স্থানে জনসমাগম কম।


উপজেলার কেন্দ্রীয় কাপড় বাজার থানাহাটে ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো পোষাক কিনতে পারছেন তারা। থানাহাট বাজারে গেলে সাধারণ ক্রেতার সমাগম চোখে পড়ার মত। প্রায় সব দোকনের ফটকে ভীড় জমতে শুরু করেছে। ঈদ যত সন্নিকটে আসছে ক্রেতার সংখ্যা ততই বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে পুরুষের তুলনায় নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। ব্যস্ত সময় পাড় করছে দোকান মালিক ও বিক্রয়কর্মীরাও। সকাল ১০টার থেকে শুরু করে রাত ১টা পর্যন্ত চলে বেচা বিক্রি।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাসের শুরুর দিকে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকলেও প্রতিদিন ক্রমান্বয়ে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রথমের দিকে ক্রেতা শূণ্য অবস্থায় থাকলেও ১৫ রমজানের পর ভিন্ন। ব্যবসায়ীরা বলছে, চাঁদ রাত পর্যন্ত ক্রেতারাদের ভীড় থাকেবে।


ঈদ উপলক্ষে কাপড় কিনতে আসে তাহের আলী ও তার স্ত্রী সাথে এসেছে তাদের ছোট একটি মেয়ে। এই দম্পত্তি থানাহাট ইউনিয়নের ডেমনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তারা তাদের পছন্দের কাপড় নেড়েচেড়ে দেখেছেন। ছোট মেয়েটির জন্য কিনেছে একটি জামা। এসময় কথা হলে তারা জানান, তাদের মেয়ের আবদার পূরণ করতে ঈদের কেনা কাটা করতে বাজারে এসেছেন। প্রতিটি কাপড়ের দাম বেড়েছে বলে জানান এই দম্পতি। গত ঈদে যে শাড়ি কিনেছেন ৬-৭’শ টাকা মধ্যে এবার তার দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩’শ টাকা। তারপরও দ্বিধাহীনভাবে নিজেদের পরিবারের জন্য কাপড় কিনেছে।


কাপড় বিক্রেতা নাকিব হাসান জানান, শুধুমাত্র ঈদের এই সময়টাতে দোকানে তার চাচাকে সাহায্য করেন। কারণ এমনি সময়ের তুলনায় রমজান মাসে শেষের দিনগুলোতে ক্রেতার চাপ বেড়ে যায়। দোকানে কর্মী কম হলে ক্রেতাদের পছন্দ মতো কাপড় দেখানোয় ভোগান্তি হয়। তাই এই সময়টাতে তিনি দোকানে কাপড় বিক্রি করেন বলে যোগ করেন তিনি।


বিবার্তা/ রাফি/ মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com