স্বামী মারা যাওয়ার বিশ বছর। নাম সায়েজান বেগম। থাকেন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বিজয়নগর (ছোট কুষ্টারী) এলাকায় রেললাইনের ধারে তিন শতক জায়গায়। এই জায়গাটিও এলাকার মানুষ চাঁদার টাকায় সায়েজান বেগমের দুঃখ দূর্দশা লাঘবের জন্য কিনে দিয়েছেন। কুড়ে ঘর মেরামত করার সার্মথ্য না থাকায় তা ভেঙে পড়েছে। এখন থাকার অনুপযোগী হয়ে গেছে।
সামনে বর্ষাকাল। ঝড় তুফানে ভেঙে চৌচির হয়ে গেলে গৃহহীন হয়ে পড়বেন এই নারী তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে নিয়ে। আরেক ছেলে আছে। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকে। সে তার মায়ের খোঁজ নেয় না।
বর্তমানে এই নারীর কুড়ে ঘরে থাকার অনুপযোগী। নাই ল্যাট্রিন, নাই টিউবওয়েল, নাই পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা। পেটে তিনবেলা তিনমুঠো ভাত দেওয়াই যখন দুরোহ ব্যাপার তখন ঘর ঠিক করাটা তার সামর্থের বাইরে। অর্থের অভাবে নিতে পারেনি বিদ্যুৎ সংযোগও। তার আক্ষেপ কত মানুষ সরকারের ঘর পেলো, কত গৃহহীনের ঠাই হলো। আমার ভাগ্যে একটা ঘরও জুটলো না। এখন এই ঘর না হলে আমি কোথায় থাকবো আমার বুদ্ধিহীন ছেলেকে নিয়ে।
সায়েজান বেগমের এখন একটাই দাবি, এই জায়গা টুকুতে একটা ঘর তুলে দেন বাকিটা সময় এখানে কাটাই দিতে চাই। আমার মৃত্যুর পরে আমার এই সন্তানের কি হবে, সেটা আমি জানি না। ঘরটুকু থাকলে পাগল জোগল মানুষ যেথায় যাউক, যেথায় যাউক এখানে এসে তো থাকতে পারবে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিবার্তা/রাফি/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]