চিলমারীতে বেড়েছে নিত্যপণের দাম, অস্বতিতে ক্রেতা
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩, ১৫:০৭
চিলমারীতে বেড়েছে নিত্যপণের দাম, অস্বতিতে ক্রেতা
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রমজান উপলক্ষে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এতে কষ্টে দিন পার করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে দিনমজুররা বলছে দৈনিক আয়ের তুলনায় বেড়েছে প্রতিটি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। ফলে বাজারে আসলেই এসব মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে যায়। প্রশাসন বলছেন, রমজান উপলক্ষে প্রতিনিয়ত হাটবাজারে মনিটরিং করা হচ্ছে।


রমজানের আগের রাতে ২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থানাহাট বাজার সরেজমিনে ঘুরে এমন সব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে অনেক ক্রেতাই প্রশ্ন তুলেছেন রমজান আসলে অনেক ব্যবসায়ী নিজে থেকেই তার দোকানের পণ্য বেশি দামে বিক্রি করছে।
কাঁচাবাজারে গত কয়েকদিনে পণ্যের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০টাকা। বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত দুইদিনে কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০টাকায়, সিম ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫, বেগুন ২০ ও মোটা বেগুন ৬০টাকা, শষা কেজি প্রতি ৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধনে পাতার দাম দ্বিগুন বেড়েছে বর্তমানে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ গ্রাম ধনিয়া পাতা ১০ টাকায়। তবে কাঁচামরিচের দাম একটু কমে কেজি প্রতি ৬০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে মাংসের বাজার নিম্নবৃত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮’শ টাকা। খাসি তো ধরা ছোয়ার বাইরে। দিনমজুরদের ভরসা সাদা মুরগি অর্থাৎ ব্রয়লার। তবে সেটির দাম বেড়েছে কয়েক দফা। বর্তমানে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০টাকা কেজিতে, লেয়ার মুরগি ৩৪০টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০টাকাতে।
মাংস বিক্রিতা আনারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমরাই বেশি দামে মুরগি কিনে আনতেছি। এর কারণ হিসেবে মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ায় সারাদিনে ২মণ মাংসও বিক্রি করতে পারিনি। অথচ প্রতি বছর রমজানের আগের রাতে ৭ থেকে ৮ মণ মাংস বিক্রি করছি। তবে দাম বাড়লেও লাভ আগের মতই আছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
এদিকে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১২টাকা, ছোলা বুট ও মসুর ডাল ৯০, আদা ৬০ এবং লবণ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে কাঁচাবাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০টাকা। পাশাপাশি মাছের বাজারে সব ধরণের মাছের কেজি প্রতি বেড়েছে ২০ থেকে ৫০টাকা। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্তির নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ নেই।
থানাহাট বাজারে মাইদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতি বছর মধ্যস্বত্বভোগীরা মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ মাস রমজানের ২/১ মাস আগে থেকে মজুদদারি শুরু করে এবং রমজান মাসে তা বাজারে ছাড়ে ফলে রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে থেকেই মূল্য বৃদ্ধি হয়। মুসলিমদের নাজাতের মাসে বিভিন্ন মুসলিম দেশে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ বাজার তদারকিতে রাখে, কিন্তু আমাদের দেশে সম্পুর্ন ভিন্ন। সরকার থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা বাজারে লাভের জন্য বিভিন্ন রকম কারিশমা চালায়। ক্ষমতায় থাকা এমপি মন্ত্রীরা যদি ব্যবসায়ী না হতো তাহলে আমাদের দেশের বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ খুবই সহজ হতো। চাইলে সরকার এই দূর্ভোগ থেকে জনগনকে রক্ষা করার ব্যবস্থা নিতে পারেন। আমরা আশা করছি সরকার এই ব্যাপারে জনবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি । যাতে নির্ধারিত দামের বেশি বিক্রি করতে না পারে। আমরা বাজার পরিদর্শন করেছি এবং সর্তক করা হয়েছে সকল ব্যবসায়ীদের।


বিবার্তা/রাফি/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com