তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার দ্বিতীয় দিনের মত উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করছে চারুকলা বিভাগের সামনে। এ সময় তারা শিক্ষাদের উপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী রাবি ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে। এসময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাদের উপর হামলা চালায় শিক্ষার্থীরা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিসি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে এলে তাকে সাবাস বাংলা মাঠে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিসিকে সাবাস বাংলা মাঠে অবরুদ্ধ করে রাখা ছিল। পরে আলোচনা সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা তাকে ভাসভবনে ঢুকতে দেন।
মূলত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে দক্ষিণ পাশে অবস্থিত উপাচার্য ভবনের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। এসময় তারা জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথা বলতে এলে শিক্ষার্থীদের রোষানলে পড়েন ভিসি। সেখানে উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীরা ‘ভূয়া, ভূয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
এর আগে, এদিন সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের ফটকে তালা দিয়ে সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্য ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবন ঘেরাও করলে সেখানে সাংবাদিকরা ছবি তুলতে যান। এসময় শিক্ষার্থীরা চ্যানেল২৪ এর রিপোর্টার আবরার শাঈর, ক্যামেরা পারসনস জুয়েলের উপর হামলা চালায়।এতে ক্যামেরা ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও কালেরকণ্ঠ পত্রিকার ফটোসাংবাদিক সালাহ উদ্দিনের উপর হামলা করে ক্যামেরা ভাঙচুর করে ।
এদিকে শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরে ভিসির বাস ভবন ঘেরাও করে রাখে। তাদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী স্থানীয় ও পুলিশ সদস্যদের বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিক করা, আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
রাজশাহী নগরীর মতিয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিবার্তা/মোস্তাফিজুর/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]